এফএনএস স্পোর্টস: মাসজুড়ে দারুণ পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেয়েছেন ফখর জামান। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা দুই ওয়ানডেতে চমৎকার সেঞ্চুরি উপহার দিয়ে ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থ’ নির্বাচিত হয়েছেন এই পাকিস্তানি ওপেনার। মেয়েদের এপ্রিলের সেরা হয়েছেন থাইল্যান্ডের নারুয়েমল চাওয়াই। গত মাসের সেরা ক্রিকেটারের নাম মঙ্গলবার প্রকাশ করে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসি। সেরার লড়াইয়ে ফখর হারান শ্রীলঙ্কার প্রবাথ জয়াসুরিয়া ও নিউ জিল্যান্ডের মার্ক চাপম্যানকে। আর সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাভিশা ইগোদাগে ও জিম্বাবুয়ের কেলিস দলুভুকে টপকে থাইল্যান্ডের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এই পুরস্কার জেতেন চাওয়াই। এপ্রিল মাসে ঘরের মাঠে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন ফখর। কুড়ি ওভারের পরের ম্যাচগুলোতে তেমন রান না পেলেও ওয়ানডেতে দ্যুতি ছড়ান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে তার শতকে জয়ের স্বাদ পায় পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচে ২৮৮ রান তাড়ায় ফখরের ব্যাট থেকে আসে ১১৪ বলে ১১৭ রান। পরের ম্যাচে ৩৩৭ রানের বড় লক্ষ্যে ¯্রফে ১৪৪ বলে ১৮০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। ১৭ চার ও ৬ ছক্কার ইনিংসে ১০ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে যায় পাকিস্তান। দুই ম্যাচেই সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচের সেঞ্চুরিতে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ¯্রফে ৬৭ ম্যাচে ৩ হাজার রান পূরণ করেন ফখর। পাকিস্তানের হয়ে এত কম ইনিংসে এই মাইলফলক ছুঁতে পারেননি আর কেউ। রেকর্ডটি গড়ার পথে পেছনে ফেলেন দলের বর্তমান অধিনায়ক বাবর আজমকে। বাবরের লেগেছিল ৬৮ ইনিংস। বিশ্বরেকর্ডে ফখরের ওপরে আছেন কেবল হাশিম আমলা (৫৭ ইনিংস)। চাওয়াই সেরা নির্বাচিত হয়েছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সীমিত ওভারের সিরিজের পারফরম্যান্সে। থাইল্যান্ডের ৩-০ তে জয়ের পথে ব্যাট হাতে অবদান রাখেন তিনি। প্রথম ম্যাচে ৫৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন চাওয়াই। তৃতীয়টিতে ৫২ রানের হার না মানা ইনিংসে দলকে জেতান ৩২ বছর বয়সী ব্যাটার। পরে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচে ৫৫ রান করেন তিনি। দ্বিতীয়টিতে তার ২৯ রানের সৌজন্যে ৫ উইকেটের জয় পায় থাইল্যান্ড।