কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি \ সাতক্ষীরার কলারোয়ার কৃষকরা প্রচন্ড দাবদাহে শরীর যেনো নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে। তার উপর শরীর থেকে যে পরিমান ঘাম ঝরছে, তাতে মানুষ অল্পতেই দূর্বল হয়ে পড়ছেন। কাজে অনিহা দেখা দিচ্ছে। কিন্তু শত রোদ, তাপকে উপেক্ষা করে রোজগারের তাগিদে মাঠের ফসল ঘরে তোলার প্রয়োজনে মরিয়া হয়ে দিন রাত এক করে চেষ্টা চালাচ্ছেন। ধান কাটা, বাধা, বহন, ঝাড়া, শুকানো ও চাউল করার প্রতিটি প্রক্রিয়ায় কর্ম ব্যস্ত সময় পার করছেন গ্রামাঞ্চলের সব এলাকার প্রায় প্রতিটি ঘরের নারী-পুরুষ। এবার উপজেলা জুড়ে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে প্রান্তিক কৃষকরা জানিয়েছেন। প্রচÐ গরমে শারীরিক কষ্টের মাঝেও ধানের বাম্পার ফলন আর ঘরে তুলতে পারায় খুশি তারা। জানা গেছে, ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলি মাঠে অধিকাংশ ধান বাড়িতে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন কৃষকেরা। কিছু মাঠে ধান কাটা, বাধা ও বহনের কাজ চলমান রয়েছে। প্রান্তিক কৃষকরা জানান, রোদ ও তাপদাহ বিরাজ করলেও কাজ থেমে নেই, চলছে অবিরাম। গা দিয়ে ঘাম পড়ছে, গায়ের পোষাক ভিজে গেছে তবুও সুষ্ঠুভাবে কষ্টের ফসল ঘরে তোলার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে কাজ করছেন। বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকের কাঁধে বাক বোঝাই ধান। সারা শরীর ভেজা, কপাল দিয়ে দরদর করে ঝরছে ঘাম। তবুও থেমে নেই চলতি মৌসুমের ধান কাটা, ঝাড়া ও চাউল করার প্রক্রিয়ার কর্মযজ্ঞতা। কেউ জীবিকার তাগিদে কাজ করছে, কেউবা আবার নিজের প্রয়োজনে। সঠিক সময়ে ফসল ঘরে তুলতে না পারলে বৃষ্টিতে ক্ষতি হতে পারে। তাই আপ্রাণ চেষ্টায় চলছে ধান ঘরে তোলার মহোৎসব। অধিকাংশ বাড়িতে দেখা গেছে- কারো ধান বাড়িতে পালা দেওয়া আছে, কেউবা ঝাড়ছেন, কেউবা ঘরে ধান তোলায় ব্যস্ত। সবমিলিয়ে রোদ ও তাপদাহের কষ্টেও ধান তোলা ও চাল প্রক্রিয়ার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠী।