২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এবং এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জণে শ্রমিকের পুষ্টিমান নিশ্চিত করতে এবং কারখানা পযার্য়ে প্রশিক্ষক তৈরির লক্ষ্যে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার খুলনা মহানগরীর একটি হোটেলে গেøাবাল অ্যালায়েন্স ফর ই¤প্রুভড নিউট্রিশন (গেইন) এর সহযোগিতায় শ্রম অধিদপ্তর আয়োজিত খুলনা অঞ্চলের বিভিন্ন সেক্টরের অর্ধশতাধিক প্রতিনিধি নিয়ে মৌলিক পুষ্টি ও নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক প্রশিক্ষকদের জন্য এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলও এর গবেষণা মতে, অপুষ্টি শ্রমিকদের কর্মক্ষমতা ২০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস করতে পারে । অপর্যাপ্ত পুষ্টি শুধুমাত্র স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে না, এটা কর্মক্ষেত্রের বাইরেও বিভিন্নভাবে উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দিতে পারে। শুধু আয়রনের অভাবজনিত এনিমিয়া দুর করতে পারলে বাংলাদেশে প্রায় ৮ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধি সম্ভব। এ জন্য শ্রমিকদের পুষ্টির দিকে নজর দেয়ার সময় এসেছে। শ্রমিকের পুষ্টিমান নিশ্চিত করা গেলে তার ব্যক্তিজীবনে কর্মঘণ্টা বৃদ্ধি পাবে ও আর্থিকভাবে লাভবান হবে। সার্বিকভাবে জাতীয় উন্নয়ন তরান্বিত হবে। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে শ্রমিকদের সুস্থতা এবং অধিক উৎপাদনশীলতার জন্য মৌলিক পুষ্টি এবং নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ সম্পর্কে অংশগ্রহণকারী মালিক এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিকে আরো জ্ঞান অর্জন করে তা তাদের শ্রমিকদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার আহবান জানানো হয়। শ্রমিকদের পুষ্টি উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই খুলনাতে একটি কর্মশালায় সকল আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক কারখানা এবং প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে একটা ওয়ার্কফোর্স নিউট্রিশন অ্যালায়েন্স গঠনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। এরই প্রেক্ষিতে গেইনের কারিগরি সহায়তায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন শ্রম অধিদপ্তর, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ওয়ার্কফোর্স নিউট্রিশন অ্যালাইয়েন্স গঠন করেছে। এই অ্যালাইয়েন্সের মাধ্যমে সংশিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ, কারিগরী সহযোগিতা প্রদান, কলকারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের জন্য পুষ্টি বিষয়ক প্রশিক্ষণ উপকরণ তৈরী এবং নীতিমালা ও কর্মপরিকল্পনায় শ্রমিকদের পুষ্টির বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়। গেইন বাংলাদেশের প্রোজেক্ট ম্যানেজার জি এম সুমন এর সঞ্চালনায় প্রধান প্রশিক্ষক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন। প্রশিক্ষণ শেষে শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন এবং বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক মো মিজানুর রহমানসহ শ্রম অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন। -তথ্য বিবরণী