খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মে মাসের সভা রবিবার সকালে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়া সবকিছু বিশ^াসযোগ্য নয়। কেবল পরিসংখ্যান দিয়ে কোন অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শতভাগ বোঝা যায় না। সাধারণ জনগণ ও পুলিশ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে সমাজে অপরাধ সংঘটনের পরিমান কমে আসবে। হাট-বাজার এলাকায় রাতের বেলায় চুরি প্রতিরোধে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন ও নৈশ প্রহরীর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে সিটি কর্পোরেশন সংলগ্ন থানা এলাকাসমূহে জেলা পুলিশের তদারকি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সিভিল সার্জন ডাঃ সুজাত আহমেদ সভায় জানান, দেশে করোনার প্রকোপ নেই বললেই চলে। জেলায় মাদক নিয়ন্ত্রণে সন্দেহভাজন মাদকগ্রহণকারী ব্যক্তির ডোপটেস্ট করার সুযোগ রয়েছে। কেএমপি’র অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার শেখ ইমরান বলেন, মেট্রোপলিটন এলাকায় বিগত মার্চ মাসের বিবেচনায় এপ্রিল মাসে মাদকের মামলা কমেছে। খুলনা মহানগরীতে যানবাহনের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে নগরবাসীদের কিছুটা যানজটের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। গত এপ্রিল মাসে সড়কে শৃঙ্খলারক্ষায় মেট্রোপলিটন পুলিশ ট্রাফিক আইনের আওতায় প্রায় ২৮ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নির্বিঘœ রাখতে পুলিশ সজাগ রয়েছে। সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার তেমন কোন প্রভাব খুলনা জেলায় পড়েনি। তবুও উপকূলীয় বেড়িবাঁধের যে কোন স্থানে ভাঙ্গনরোধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম জমাদানের সময় একজন প্রার্থীর পক্ষে পাঁচজনের বেশি ব্যক্তি রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে যাতে না যেতে পারে সেদিকে প্রার্থী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সচেতন থাকতে হবে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুশৃঙ্খল পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা সভায় বিগত মাসে খুলনা জেলা ও মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। খুলনা জেলা অধিক্ষেত্রে বিগত এপ্রিল মাসে ১৮৩টি মামলা দায়ের হয়েছে যা বিগত মার্চ মাসে দায়ের হওয়া মামলার চেয়ে ৩১টি কম। খুলনা মহানগরী অধিক্ষেত্রে এপ্রিল মাসে ১২৮টি মামলা দায়ের হয়েছে যা বিগত মার্চ মাসে দায়ের হওয়া মামলার চেয়ে ২৪টি কম। সভায় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাসহ কমিটির সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। -তথ্য বিবরণী