মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২২ পূর্বাহ্ন

খুলনায় ১৫০০ হেক্টর পতিত জমি ফসলের ঝিলিক

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ২২ মে, ২০২৩

সিরাজুল ইসলাম খুলনা থেকে \ খুলনা বন্ধ থাকা শিল্পকারখানা বিভিন্ন সরকারি অফিস, রাস্তার পাশ,স্কুল কলেজের চত্বর সহ ব্যাক্তিমালিকাধীন পতিত জমিগুলো ফসলে ভরে উঠেছে। সূর্যমূখী ভূট্টা- হলুদ আভার পাশাপাশি দূশ্যমান শাক-সবজি পেপে চাষে ভরে উঠেছে ১০৭প্রতিষ্ঠানে। অধিদফতরের সহায়তা পরামর্শে শিল্প পতিষ্ঠানের শ্রমিক সরকারি দফতরে কর্মচারী আর শিক্ষক-শিক্ষাথীদের পরিচর্যায় অব্যাহৃত জমি এখন কৃষি অর্থনীতির বড় সম্ভাবনায় পরিণত হয়েছে। প্রতিনিয়ত ফসলে ভরে উঠছে নতুন পতিত জমি। খুলনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায় জেলায় ৯টি উপজেলাসহ শহরে ১০হাজার ৯৭৫ হেক্টর অনাবাদি পতিত জমি আছে। ইতোমধ্যে ১ হাজার ৪৩০ হেক্টর জমি চাষের আওতায় আনা হয়েছে। ২০২২-২০২৩ সালে ক্রিসেন্ট জুট মিলে ১২ বিঘা, খালিস পুর জুট মিলে ৩ বিঘা দৌলত পুর ও প্লাটিনাম জুট মিলে ২ বিঘা ইস্টান জুট মিলে ২০ শতক আলিম জুট মিলে ২ বিঘা ২৫ শতক এবং স্টার জুট মিলে ১২ বিঘা জমি চাষের আওতায় আনা হয়েছে। এর বাইরে ক্রিসেন্ট কারখানার ভিতর আশ পাশ এলাকায় ৩০০ শত পেপের চারা লাগানো হয়েছে। পর্যাক্রমে ১০০০ চারা লাগানো হবে। ফসল চাষের বিষয়টি মিলের কর্মকর্তা কর্মচারীরা খুবই ইতিবাচক ভাবে নিয়েছে। তারা নিজেরাই চাদা দিয়ে লক্ষাদিক টাকার একটি তহবিল গঠন করেছে। রূপসা উপজেলার কৃষি অফিসার মোঃ ফরিদুজ্জামান বলেন এ উপজেলায় ৬১৯ হেক্টর পতিত জমি রয়েছে, তবে সব জমি চাষের যোগ্য নয়। বিদ্যুৎ অফিস, হিমায়িতি চিংড়ী ফ্যাক্টারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন স্তানে প্রায় ১৫ হেক্টর জমি চাষের আওতায় আনা হয়েছে। কিছু লোক এলাকায় জমি কিনে রেখে অন্য এলাকায় বসবাস করে তাদের জমি গুলো চাষের আওতায় আনা সম্ভব হছে না। কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তর খুলনা অতিরিক্ত উপ পরিচালক মোঃ মোসাদেক হোসেন বলেন মন্ত্রলায় থেকে পতিত জমিতে চাষের নির্দেশনা রয়েছে। নির্দেশন অনুযায়ী খুলনা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সহ ব্যাক্তিমালিকানা ধীন পতিত জমিতে চাষাবাদের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তাদেরকে কৃষি দফতর থেকে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com