এফএনএস বিদেশ : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন গতকাল রোববার সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। মস্কোর নিয়ন্ত্রণাধীন ইউক্রেনীয় অঞ্চলে ‘দ্রæত’ রুশ সামরিক ও বেসামরিক চলাচল নিশ্চিত করতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও বর্ডার গার্ড দিবসে রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের (এফএসবি) শাখা-সীমান্ত পরিষেবাকে অভিনন্দন বার্তায় পুতিন বলেন, তাদের কাজ ছিল যুদ্ধ অঞ্চলের আশপাশের লাইনগুলোকে ‘নির্ভরযোগ্যভাবে কভার’ করা। সা¤প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রাশিয়ার ভেতরে আক্রমণগুলোর তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, প্রধানত সীমান্ত বরাবর অঞ্চলগুলোতে ড্রোন হামলা। গত শনিবারও মস্কোর উত্তর-পশ্চিমে একটি তেল পাইপলাইনসহ দেশের গভীরে ক্রমবর্ধমানভাবে হামলা হয়েছে। ক্রেমলিনের টেলিগ্রাম মেসেজিং চ্যানেলে পোস্ট করা এক বার্তায় পুতিন বলেন, ‘(রাশিয়ান) ফেডারেশনের পাঠানো খাদ্য, মানবিক সহায়তা, নির্মাণসামগ্রীসহ সামরিক ও বেসামরিক যানবাহন এবং পণ্যসম্ভারের দ্রæত চলাচল নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’ খেরসন, জাপোরিঝিয়া, লুহানস্ক ও দনেৎস্ক হলো ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল, যা পুতিন গত সেপ্টেম্বর সংযুক্ত করেছিলেন। কিয়েভ এটিকে জালিয়াতি গণভোট বলে অভিযোগ করেছিল। রুশ বাহিনী শুধু আংশিকভাবে চারটি অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে। গত শনিবার কর্মকর্তারা বলেছেন, বেলগোরোদে ইউক্রেনের গোলায় তিনজন আহত হয়েছে। এটি এ সপ্তাহে ইউক্রেনীয়পন্থী যোদ্ধাদের লক্ষ্যবস্তু করা এমন একটি অঞ্চল, যা রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ও সামরিক সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। ইউক্রেন সীমান্তবর্তী কুরস্ক এবং বেলগোরোদ রাশিয়ান অঞ্চলগুলো আক্রমণের সবচেয়ে ঘন ঘন লক্ষ্যবস্তু হয়েছে, যা বিদ্যুৎ, রেল এবং সামরিক অবকাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা হামলাগুলোর জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছেন। কিয়েভ কখনোই প্রকাশ্যে রাশিয়ার ভেতরে এবং ইউক্রেনের রুশ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে হামলার দায় স্বীকার করে না। তবে তারা বলেছে, অবকাঠামো ধ্বংস করা তার পরিকল্পিত স্থল হামলার প্রস্তুতি। ইউক্রেন গত শনিবার ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা ১৫ মাসের দীর্ঘ যুদ্ধে রাশিয়ার দখলকৃত অঞ্চল পুনরুদ্ধারের জন্য একটি দীর্ঘ প্রতিশ্রæত পাল্টা আক্রমণ শুরু করতে প্রস্তুত। সূত্র : রয়টার্স