শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধি দলের বৈঠক আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা দেশের দুই সমুদ্রবন্দরে চালু হচ্ছে কনটেইনারবাহী জাহাজ চলাচল আদালতে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে স্বামী দাবি করলেন মডেল মেঘনা বজ্রপাতে বিএনপি নেতার মৃত্যু রোববার আবার বিএনপির সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে বলেছে বাংলাদেশ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কাতারে যাচ্ছেন চার নারী খেলোয়াড় দেবহাটার ঘরে ঘরে ছাগল পালন বাণিজ্যিক ভাবে চলছে চাষ \ খামার দেখভালে এগিয়ে মা বোনেরা শ্যামনগরে পরীক্ষায় নকলের দায়ে ১১ শিক্ষার্থী বহিষ্কার দায়িত্বহীনতায় ১২ শিক্ষক অব্যাহতি মাহফিলের টাকা গ্রহণ করে বক্তা না আসায় আদালতে মামলা

দাঁত মাজার ব্রাশ কতদিন পরপর বদলানো উচিৎ

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩

এফএনএস লাইফস্টাইল: মুখের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। সেজন্য নিয়মিত ব্রাশ করতে হবে। সকালে ও রাতে এই দুইবেলা ভালো টুথপেস্ট ব্যবহার করে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। কিন্তু এখানেই তো কাজ শেষ হয় না। আপনার টুথব্রাশ সময়মতো বদলে নিতে হবে। আমাদের একটা বাজে স্বভাব, ব্রাশের ব্রিসেলসগুলো একদম অকেজো হলেই ব্রাশ ফেলে দেই। এমনটা ঠিক নয়। আপনার ওরাল হেলথের জন্যও স্বাস্থ্যকর নয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, আপনার ব্রাশ ৩-৪ মাস পরপর বদলানো ভালো। আর যদি আগেই কোনো কারণে ব্রিসেলস নষ্ট হয় তাহলে দ্রæত বদলান। আরেকটি বিষয়। বাড়িতে কেউ সংক্রমণজনিত রোগে আক্রান্ত হলে ১-২ দিনের মধ্যে ব্রাশ বদলে ফেলুন সবার। মুখ দিয়ে অনেক রোগ শরীরে ছড়ায়। তবে ব্রাশের কিছু যতœও নিতে হবে। তবেই তিন চার মাস পর সুস্থ ওরাল হেলথ নিশ্চিত করে ব্রাশ বদলাতে পারবেন। এই যতেœর পদ্ধতিগুলো হলো:
নিজের টুথব্রাশ অন্য কেউ যেন ব্যবহার না করে খেয়াল রাখবেন।
টুথব্রাশ মাউথওয়াশ বা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে রাখার প্রয়োজন নেই। গরম পানি অনেক সময় ব্রিসেলসের ক্ষতি করে। বেসিনের কলের পানি দিয়ে ধুলেই চলবে।
ভুল করে কেউ আপনার ব্রাশ ব্যবহার করতেই পারে। সেটা ফেলে দিন।
পরিবারের সবার টুথব্রাশ যেন একে অপরের গায়ে গা লাগিয়ে না থাকে সেজন্য টুথব্রাশ হোল্ডার কিনুন দেখে।
টুথব্রাশের জন্য আলাদা বদ্ধ ক্যাপ দরকার নেই। প্লাস্টিক এই ক্যাপ ব্যবহার করে নিরাপদ ভাবার কারণ নেই। উলটো সংক্রমণের আতঙ্ক আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

দিনটা শুরু হবে চায়ে, না কফিতে? জানুন কোনটা ভালো সকালের শুরুটা কেমন হয়, পুরো দিনের ওপর তার একটা ছাপ পড়ে। কেউ সকালে উঠে চায়ের কাপ হাতে না পেলে যেন দিনই শুরু করতে পারেন না, আবার কেউ আছেন কফির তীব্র গন্ধ ছাড়া সকাল কল্পনাই করতে পারেন না। এই দুটি পানীয় শুধু স্বাদের জন্য নয়, বরং অভ্যাস, সংস্কৃতি এবং মানসিক প্রশান্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—সকালের জন্য কোনটা ভালো? চা নাকি কফি? এই নিয়ে নানান জনের নানান মত। চাপ্রেমীরা বলবেন চায়ের কথা তেমনি কফিপ্রেমীদের ভোট থাকবে কফিতে। আসুন জেনে নেই আসলে স্বাস্থ্যকর দিক থেকে কোনটি সবচেয়ে ভালো। বিশ^জুড়ে কোটি কোটি মানুষ দিনের শুরু করে এক কাপ চা দিয়ে। বিশেষ করে উপমহাদেশে চা শুধু পানীয় নয়, এক ধরনের সংস্কৃতি। আমাদের দেশে সকালে বাসার বারান্দায় বসে কড়া লাল চা কিংবা দুধ চা পান করার অভ্যাস অনেক পুরোনো। চায়ে উপস্থিত থাকে ক্যাফেইন, তবে তা কফির তুলনায় অনেক কম। এজন্য চা ধীরে ধীরে কাজ করে, মাথা ঠান্ডা রাখে এবং এক ধরনের প্রশান্তি দেয়। এতে থাকা এল—থিয়ানিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং মনোযোগ বাড়ায়। যাদের সকালে অতিরিক্ত উত্তেজনা বা নাড়া—চাড়া একদম পছন্দ নয়, তাদের জন্য চা একটি আদর্শ পানীয় হতে পারে। অন্যদিকে কফি হচ্ছে সকালের সেই পানীয়, যা অনেকের চোখ খুলে দেয়। যাদের সকালে কাজে নেমে পড়তে হয় দ্রুত, তাদের কাছে কফি যেন এক অলৌকিক শক্তির উৎস। এতে থাকা বেশি পরিমাণ ক্যাফেইন খুব দ্রুত কাজ করে, মনোযোগ বাড়ায়, ক্লান্তি দূর করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক কাপ ব্ল্যাক কফি সকালবেলা শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে এবং ফ্যাট বার্নিংয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখে। তাই যারা স্বাস্থ্য সচেতন, তাদের অনেকেই সকালে কফিকেই বেছে নেন। কোনটা বেশি স্বাস্থ্যকর? চা এবং কফি—দু’টোর মধ্যেই রয়েছে স্বাস্থ্য উপকারিতা। চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ক্যাটেচিন এবং ফ্ল্যাভোনয়েডস হৃদরোগ, ক্যানসারসহ নানা জটিল রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। গ্রিন টি তো একেবারে স্বাস্থ্য সচেতনদের প্রিয়। অন্যদিকে কফির মধ্যেও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং নানা উপকারী উপাদান যা টাইপ—২ ডায়াবেটিস, পারকিনসনস ডিজিজ এবং অ্যালজাইমার্স প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। তবে একটা বড় পার্থক্য হলো—কফির অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণে উদ্বেগ, ঘুমের সমস্যা, হৃদকম্পন ইত্যাদি হতে পারে। অন্যদিকে চা তুলনামূলকভাবে বেশি সহনীয় এবং দীর্ঘমেয়াদে কম পাশ^র্প্রতিক্রিয়ামূলক। জীবনধারা ও অভ্যাস নির্ভর সকালে চা ভালো, না কফি—এই প্রশ্নের উত্তর অনেকাংশেই নির্ভর করে ব্যক্তির জীবনধারা ও স্বাস্থ্যের ওপর। কেউ যদি খুব সকালে উঠে ধীরে ধীরে দিন শুরু করেন, কিছুক্ষণ বই পড়ে, প্রার্থনা করেন বা নিজেকে সময় দেন—তাদের জন্য চা একটি উপযুক্ত সঙ্গী। আবার অফিস শুরু হতেই যদি ছুটতে হয়, মাথা ঠান্ডা রাখতে না পারলে সমস্যা হয়, তবে এক কাপ কফি প্রয়োজনীয় জ্বালানির মতো কাজ করে। অনেকেই আবার দুটোই পছন্দ করেন—সকালে কফি, বিকেলে চা। এতে শরীর ও মন দুটোকেই যথাযথভাবে সাড়া দেওয়া যায়।চা বনাম কফি, এই লড়াইয়ে নির্দিষ্ট করে জেতার কেউ নেই। বরং আপনার শারীরিক চাহিদা, মানসিক অবস্থা, এবং সকালের অভ্যাস—এই তিনটাই ঠিক করে দেবে কোনটা আপনার জন্য উপযুক্ত। কেউ হয়তো সকালে এক কাপ লাল চা নিয়ে প্রকৃতির শব্দে মুগ্ধ হন, আবার কেউ কফির তীব্রতায় জেগে উঠে নতুন দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত হন। দিনের শুরুটা হোক যেভাবেই চা বা কফি, দুটোই যদি আপনাকে ইতিবাচকতায় ভরিয়ে তোলে, তবে সেটাই আপনার জন্য সেরা সকাল।

© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com