এক
দৃষ্টিপাত রিপোর্ট \ সাতক্ষীরার উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধ সাতক্ষীরার এক সময়ের আর্শীবাদ সুন্দরবন বস্ত্রকল (টেক্সটাইল মিলস) সময়ের আবতে নিরব, নিথর হয়ে ইতিহাসের অভিশপ্ত স্বাক্ষীতে পরিনত হয়েছে। বরাবরই অবহেলিত সাতক্ষীরা তথা দক্ষিন বাংলার জনপদে আমার সঞ্চারন জাগানো সুন্দরবন বস্ত্র কল কেবল সোনালী অতীত আর বর্তমানে বোঝা। আশির দশকের কথা তথা দেশে হাতেগোনা কয়েকটি বস্ত্রকলছিল, দক্ষিনের সুন্দরবন, পাশ্ববর্তী শিল্প শহর খুলনা এরই মাঝে সাতক্ষীরা বাসির নায্যদাবী প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮২ সালে যাত্রা শুরু মহা উৎসবের আলো ঝরানো, সম্ভাবনার নব দিগন্তের সুভাস ছড়িয়ে সাতক্ষীরা খুলনা মহাসড়কে সাতক্ষীরা বাসির আশা আকাঙ্খার প্রতিক বস্ত্রকলটি উৎপাদন শুরু করে, সেকি জমজমাট, হৈ হুলোল, নতুন নতুন মেশিন আর যন্ত্রপাতির সমাহার, নব নব পদ্ধতি সুতা উৎপাদন, শ্রমিকদের উৎপাদন মুখিতা সব মিলে আলো ঝলমলের সুভাষিত মুহুর্ত। মিল কর্তৃপক্ষ শ্রমিক, সুতা ক্রেতা, সাধারন মানুষ সকলেই মিলটির প্রতি আগ্রহী হতে থাকে। সাতক্ষীরার শত শত পরিবারের জীবন জীবিকার উৎস্য হিসেবে বিবেচিত হতে থাকে, জেলার বিভিন্ন প্রান্তের বেকার যুবকরা, প্রশিক্ষন প্রাপ্ত যুবরা সুন্দরবন বস্ত্র কলকেই জীবন জীবিকার উৎস্য হিসেবে বেঁছে নেন। সাতক্ষীরার ভৌগলিকতা পেরিয়ে বস্ত্র কলটির সুনাম, সুখ্যাতি সর্বপরি উৎপাদন ব্যবস্থা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। সাতক্ষীরা ক্রমান্বয়ে বস্ত্রকল তথা শ্রমিক মুজুরী নির্ভর অর্থনীতির প্রবাহ সৃষ্টি হয়। এক কথায় মেশিনের খুট খাট, সান সান, সো সো শব্দ আর শ্রমিকদের পেশাদারিত্ব শুরুতেই লাভের সাথে সম্পৃক্ত হয় মিলটি, কিন্তু সময়ের ব্যবধানে আর বাস্তবতার নিরিখে সাতক্ষীরার মানুষের অহংকার, গর্ব আর অর্থনৈতিক উন্নয়নের মহা ক্ষেত্র সুন্দরবন বস্ত্রকল যৌবন হারাতে থাকে, একদা বার্ধক্য ভর করে বর্তমানে মৃত, কেবল মাত্র বিল্ডিংগুলো দৃশ্যমান। কিন্তু কেন মিলটির মৃত্যুর ঘন্টা বাজলো? চলবে…