দৃষ্টিপাত রিপোর্ট \ মূল্যবৃদ্ধির পাগলা ঘোড়া আর ঝাজের তাপদাহের পেয়াজ বাজারে সুখের আর স্বস্তির খবর দিলো পেয়াজ আমদানীর মাধ্যমে। গতকাল বিকালে প্রতিবেশী দেশ ভারত হতে ভোমরা বন্দরে আমদানী করা পেয়াজ ভর্তি এগারটি ট্রাক প্রবেশ করেছে। সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশ (ভোমরা বন্দরে) প্রবেশের পঞ্চাশটির অধিক পেয়াজ ভর্তি ট্রাক অপেক্ষা করছে। আমদানী রপ্তানী প্রক্রিয়া শেষ হলেই পেয়াজ ভর্তি ট্রাক গুলো ভোমরা বন্দরে প্রবেশ করবে। গতকাল এগারটি ট্রাকে আসা পেয়াজের পরিমান তিনশত ত্রিশ মেট্রিক টন। দীর্ঘ দিন যাবৎ পেয়াজ আমদানী বন্ধ ছিল আর তার কারন হলো দেশের কৃষকদের উৎপাদিত পেয়াজের সুষম ব্যবহার, বাজার সৃষ্টি সহ নানামুখি কৃষক বান্ধব পদক্ষেপ। এক শ্রেনির অসাধু ব্যবসায়ীরা দফায় দফায় পেয়াজের মূল্য বৃদ্ধির গতি এতটুকু বৃদ্ধি করে যে কেজি প্রতি পেয়াজের মূল্য একশত টাকায় পৌছায়, পাইকারী পঁচাশি হতে নব্বুই টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হতে থাকে। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় শহরের বড় বাজার হতে শুরু করে অন্যান্য বাজার এবং মফস্বলের বাজার গুলোতে পেয়াজের মূল্য বৃদ্ধির রিতিমত উৎসব চলে। পেয়াজ আমদানীর সিদ্ধান্তের বিষয়টি সরকারি ভাবে জানানো হলে অসাধু ব্যবসায়ীরা ও তাদের অসম সিন্ডিকেটের ভিত কেঁপে ওঠে। মুহুর্তে পেয়াজের বাজারের উর্ধমুখিতা কমতে থাকে। গতকাল সাতক্ষীরা শহর সহ উপজেলা ভিত্তিক বাজার গুলোতে কেজি প্রতি পেয়াজের মূল্য বিশ ত্রিশ টাকায় নেমে আসে। নব্বুই, একশত টাকার পেয়াজ বিক্রি হয় পঁচাত্তর/আশি টাকায়। পেয়াজ আমদানীর অনুমতির খবর, আমদানী করা পেয়াজ ভোমরা বন্দরে পৌছানো, সবশেষ পেয়াজের বাজারের মুল্যবৃদ্ধির অসম প্রতিযোগিতার ছন্দ পতন সব মিলে ক্রেতা তথা ভোক্তা সাধারন স্বস্তি অনুভব করছে। প্রয়োজন অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহিৃত করন এবং আইনের আওতায় আনা, যে সকল ব্যবসায়ী অনাকাঙ্খিত ভাবে পেয়াজের বাজার অস্থিতিশীল করে তুলছিল।