বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিনক্ষণ শেষ, দুর্গম দুই দ্বীপ ইউনিয়নে পৌঁছে গেছে ব্যালট পেপার নূরনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় ভ্যান চালক নিহত ও গুরুতর আহত ১ জন যাত্রী পাইকগাছার হরিঢালীতে শশুরের নির্মম অত্যাচারে পুত্রবধূর মৃত্যু আশাশুনিতে স্থানীয় সম্পদ আহরণ ও বাজেট ব্যবস্থাপনা কোর্স অনুষ্ঠিত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ সাতক্ষীরায় বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে গণসংযোগ করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী মশিউর রহমান বাবু ফিফার আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক ফিফা রেফারি তৈয়ব হাসান আজ দুবাই যাচ্ছেন সাতক্ষীরায় শেখ মশির আহম্মদ-বিজলী আহম্মেদ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ৫ হাজার বোতল বিশুদ্ধ খাবার পানি বিতরণ কেশবপুরে দিনের বেলায় ঘরের তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা স্বর্ণ অলংকার সহ ৫ লাখ টাকার চুরি রাফা দখলে নিয়েছে ইসরাইল বাহিনী

সাতক্ষীরায় লাগামহীন ফ্যানের বাজার, তবুও মানুষ ঝুকছে ক্রয়ে ঃ স্থানীয় ভাবে তৈরী হচ্ছে ফ্যান, ভোক্তা অধিদপ্তরের তদারকি জরুরী

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শনিবার, ১০ জুন, ২০২৩

দৃষ্টিপাত রিপোর্ট \ প্রচন্ড তাপদাহ সর্বত্র ভ্যাপসা গরম, অসহনীয় জন জীবন, সেই সাথে মুহুর মুহুর লোডশেডিং আর এ কারনে ঠান্ডা বাতাস, স্বস্তিময় জীবন যাত্রার জন্য মানুষ ছুটছে বিকল্প ব্যবস্থার দিকে সে জন্য ভিড় বাড়ছে চার্জার ফ্যান, সোলার ফ্যান, চার্জার লাইট, আইপিএস এবং ইউপিএসের সন্ধানে। ব্যাপক চাহিদার কল্যানে বিক্রেতারা সরবরাহ করতে এক দিকে হিমসিম খাচ্ছে অন্য দিকে চাহিদাকে পুজি করে মূল্য বৃদ্ধির অসম প্রতিযোগিতায় ও নেমেছে কোন কোন বিক্রেতা। প্রয়োজন বড়ই বালাই এজন্য মূল্য বৃদ্ধিকে আমলে না নিয়ে প্রয়োজনীয় ফ্যান লাইট এর সন্ধানে ছুটছে তো ছুটছেই ক্রেতারা। গরম আর লোডশেডিং একই সময়ে অবস্থান করায় সংকট অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। গরমের কবলে বিশেষ ভাবে ভোগান্তীর শিকার শিশু ও বৃদ্ধরা যে কারনে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে সর্বাধিক দুশ্চিন্তা। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় শহরের ইলেকট্রনিক্স দোকান গুলোতে। গত কয়েকদিন যাবৎ চার্জার ফ্যান ও সোলার ফ্যানের বিক্রি এতটুকু বেড়েছে যে কোন দোকানে ক্রেতাদের উপস্থিতি এত অধিক যে অন্য ক্রেতারা ঢুকতে পারছে না। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দোকানীরা পণ্য সরবরাহ করছে না। দরদামের সুযোগ পাচ্ছে না ক্রেতারা। অত্যাধিক চাহিদার কল্যানে কয়েক গুন মূল্য বৃদ্ধির ঘটনা ঘটেছে। বলা যায় লাগামহীন যে ফ্যানের মূল্য ইতিপূর্বে ৮০০ টাকা ছিল সেই ফ্যান বর্তমানে ১২/১৫ শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই ভাবে ১২শত টাকা মূল্যের ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২২ শত টাকায়। ইউপিএস এবং সোলার ব্যাটারীর মূল্য অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। কারন একটাই অত্যাধিক চাহিদা। সাতক্ষীরা শহর হতে মফস্বল গ্রামের মোকাম গুলোতে বিক্রি বৃদ্ধির এবং চাহিদার ঘটনা সমান তালে চলছে। শহরের একটি ইলেকট্রনিক্স দোকানে চার্জার ফ্যান ক্রয় করতে আসা মোমেনা খাতুন দৃষ্টিপাতকে জানান গরম আর ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারনে বাচ্চারা ঘুমাতেই পারছে না। সে কারনে চার্জার ফ্যান এর বিকল্প নেই তাই ক্রয় করতে আসা, তিনি আরও জানান বাড়ী থেকে মূল্য জেনে এসেছি কিন্তু এখন দেখছি সে অপেক্ষা দাম বেশী। এক দোকানী জানালেন মূল্য বৃদ্ধির কথা বলা হলেও দৃশ্যতঃ আমরা (বিক্রেতারা) ক্রয়ের উপর বিক্রি করি। রাজধানী ঢাকা বাজার হতে এবং বিভিন্ন কোম্পানীর সরবরাহ করা ফ্যান আমরা বিক্রি করি। তিনি স্বীকার করেন পূর্বের ন্যায় মালামাল সরবরাহ ধীর গতি সারাদেশে চাহিদা বিধায় চাহিদানুযায়ী ফ্যান পাচ্ছি না। চাহিদা মূল্য বৃদ্ধি আর সংকটের এই সময় গুলোতে কোন কোন দোকানী কয়েকটি ফ্যান ডিসপ্লেতে রেখে মূল্য নির্ধারন করে রেখেছে এবং এক দাম বলা হচ্ছে অর্থাৎ দরদামের সুযোগ নেই। অবশ্য অধিকাংশ দোকান গুলোতে দরদামের সুযোগ পাচ্ছে ক্রেতারা কিন্তু বিক্রেতার কথাই শেষ কথা। ক্রেতাদের অভিযোগ আমরা ইতিপূর্বেও চার্জার ফ্যান ও সোলার ফ্যান, ব্যাটারী ক্রয় করেছি কিন্তু মূল্যবৃদ্ধি ছিল না। ধারনা করা হচ্ছে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মূল্য বৃদ্ধির ঘটনা ঘটানো হচ্ছে, সাতক্ষীরার প্রেক্ষিতে শহর অপেক্ষা গ্রামে লোডশেডিং বেশি বিধায় চার্জার ফ্যান বিদ্যুতের অভাবে চার্জ ঠিকমতো হচ্ছে না যে কারনে গ্রামের লোকজন সোলার ফ্যানের দিকে ঝুকছে সর্বাধিক। কয়েকদিন পূর্বে ফ্যানের মূল্য এবং বর্তমানের মূল্য কেবল বৃদ্ধি নয় রীতিমত অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি। সাতক্ষীরার চার্জার ও সোলার ফ্যানের সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে মূল্য বৃদ্ধিতে জনসাধারন বিশেষ করে কম আয়ের লোকজনের ভোগান্তী এবং অর্থ ব্যায়ের শেষ নেই বিধায় জনস্বার্থে ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষনে ভোক্তা অধিদপ্তরের তদারকির বিকল্প নেই। কর্তৃপক্ষ বাজার মনিটরিং করলে অবশ্যই ক্রেতাদের জন্য বিশেষ সহায়ক হবে। নতুন ফ্যান বিক্রির পাশাপাশি স্থানীয় প্রযুক্তিতে তৈরী ফ্যানের দিকেও ঝুকছে ক্রেতারা। সাতক্ষীরা শহর সহ বিভিন্ন উপজেলায় স্থানীয় ভাবে ছয় ইঞ্চি হতে শুরু করে বার ইঞ্চি চার্জার ফ্যান তৈরী করা হচ্ছে মূল্য যেমন সহনীয় অনুরুপ আর্থিক ক্ষেত্রে বাকি বকেয়াও নেওয়া যায় খোজ নিয়ে জানাগেছে বহুস্থানে ব্যাটারী সামগ্রী ক্রয় পরবর্তি ফ্যান তৈরী করা হচ্ছে। ক্ষুদ্রাকৃতির ফ্যান তৈরী ও বিক্রি হচ্ছে। নতুন ফ্যান ক্রয়ের ভিড় সেই সাথে অকেজো বা নষ্ট হওয়া ফ্যান ব্যাটারী সারাই করতে ছুটছে মিস্ত্রির (ম্যাকানিক)এর দোকানে। সব মিলে সাতক্ষীরায় চলছে চার্জার ও সোলার ফ্যানের চাহিদা। আর্থিক সংকট থাকলেও প্রয়োজনের তাগিদে তা সংগ্রহের চেষ্টা থেমে নেই। কেবলমাত্র সহনীয় আবহাওয়া, বৃষ্টিপাত আর নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎই দিতে পারে জনস্বস্তি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com