এফএনএস স্পোর্টস: লিগ ওয়ানের টেবিলে শীর্ষস্থান আরও পোক্ত করার সম্ভাবনা ছিল। সুযোগ ছিল রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচের আগে মনোবল চাঙ্গা করে নেওয়ার। লিওনেল মেসি-নেইমারদের বিবর্ণতায় কোনোটাই পারল না পিএসজি। বরং শেষ দিকে গোল হজম করে হেরে বসল নিসের মাঠে। গত ডিসেম্বরে প্রথম লেগের মতো গত শনিবার রাতেও দুই দলের ফিরতি লেগের ম্যাচের পরিণতি ছুটছিল গোলশূন্য ড্রয়ের দিকে। ৮৮তম মিনিটে ব্যবধান গড়ে দেন আন্দি দেলোঁ। ১-০ গোলের দারুণ জয়ে লিগ টেবিলে শীর্ষে থাকা পিএসজির সঙ্গে ব্যবধান ৩ পয়েন্ট কমিয়ে আনল নিস। ২৭ ম্যাচে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে পিএসজি; ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে নিস। বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে রিয়ালের মুখোমুখি হবে পিএসজি। প্রথম লেগে কিলিয়ান এমবাপের দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের গোলে জিতেছিল ফ্রান্সের দলটি। নিসের বিপক্ষে এমবাপে খেলতে পারেননি কার্ডের খাড়ায়। বাকি দুই ফরোয়ার্ডের মধ্যে নেইমারের খেলায় ছিল না চেনা আগ্রাসী, মরিয়া ভাব। মেসির অবস্থাও তথৈবচ। সাঁত এতিয়েনের বিপক্ষে দুটি অ্যাসিস্ট করেও সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন এই মহাতারকা। এবার পুরোটা সময়ই তার বিবর্ণ পারফরম্যান্স সমালোচকদের হাতে যেন আরও রসদ তুলে দিল! নিজেদের মাঠে শুরু থেকে উজ্জীবিত ফুটবল খেলতে থাকে নিস। মেসি, নেইমার-কেউই পারেননি তাদের রক্ষণে ভীতি ছড়াতে। এ অর্ধে মাত্র ৪ শটের একটি গোলমুখে রাখতে পারে আগের ম্যাচে সাঁত এতিয়েনকে উড়িয়ে দিয়ে আসা দলটি। শুরুর ছয় মিনিটের মধ্যে দুটি আক্রমণ শাণায় নিস। গুয়েহির প্রথম শট আটকান পিএসজি গোলরক্ষক, দ্বিতীয়টি যায় বাইরে। নবম মিনিটে নেইমার ও আনহেল দি মারিয়ার হাত ধরে আক্রমণে ওঠে পিএসজি। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের পাস ধরে আর্জেন্টাইন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। ২৪তম মিনিটে মেভলিন বার্ডের আড়াআড়ি ক্রসে গোলমুখ থেকে নিসের ডাচ ফরোয়ার্ড পাবলো রোসারিওর হেড যায় বাইরে। এর পাঁচ মিনিট পর ফের নেইমারের তৈরি করে দেওয়া সুযোগ লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ দি মারিয়া। দ্বিতীয়ার্ধেও ধার ফেরেনি পিএসজির খেলায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বক্সের বাইরে মুখ থুবড়ে পড়তে থাকে তাদের আক্রমণ। ৬৬তম মিনিটে নেইমারের ফ্রি কিকে টিলো কেররারের দুর্বল হেড ড্রপ খেয়ে আরও দুর্বল হয়ে জমে যায় গোলরক্ষকের গ্লাভসে। ৭৮তম মিনিটে দি মারিয়াকে তুলে মাউরো ইকার্দিকে নামান কোচ। তিন মিনিট পর আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের শট কর্নারের বিনিময়ে ফেরান এক ডিফেন্ডার। অবশেষে নিসের পাল্টা আক্রমণে সফরকারীদের ওই স্তব্ধ করে দেওয়া গোল। সতীর্থের ক্রস জর্জিনিয়ো ভেইনালডাম স্লাইড করে ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে তার পেছনে থাকা দেলোঁ প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করেন। তাতে লিগ ওয়ানের চলতি মৌসুমে পিএসজির তৃতীয় হারও লেখা হয়ে যায়।