এফএনএস স্পোর্টস: না থেকেও যেন আছেন রশিদ খান। তাতে খুব বিস্ময়েরও কিছু নেই। দুই দলের সবশেষ টেস্টে যিনি ছিলেন নায়ক, তার কথা তো এবারও ঘুরেফিরে আসবেই। বাংলাদেশ যদিও এই লেগ স্পিনারের না থাকাকে খুব একটা বড় করে দেখতে চায়নি। তবে আফগানরা তো জানেন, একজন রশিদের গুরুত্ব আসলে কতটা। মিরপুর টেস্ট শুরুর আগে তাই আফগানিস্তানের কোচ জোনাথন ট্রট অকপটেই বললেন, রশিদকে মিস করবে দল। এই মাসেই শ্রীলঙ্কা সফরে প্রথম দুই ওয়ানডেতে চোটের কারণে খেলতে পারেননি রশিদ। পরে শেষ ওয়ানডেতে তিনি খেলেন। তবে বিশ্বকাপের বছরে দলের সবচেয়ে বড় অস্ত্র নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি আফগান বোর্ড। তাই এই সফরের টেস্ট দলে তাকে রাখা হয়নি। তার অনুপস্থিতিতে ডাক পেয়েছেন তরুণ লেগ স্পিনার ইজহারুলহক নাভিদ। স্পিন আক্রমণে দুই চেনা মুখ বাঁহাতি স্পিনার আমির হামজা হোতাক ও বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার জাহির খান। লাল বলের সংস্করণে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচ খেলেছেন আফগানিস্তান। এর মধ্যে পাঁচটিতে ছিলেন রশিদ। চারবার ৫ উইকেট ও ম্যাচে দুইবার ১০ উইকেটসহ ¯্রফে ৯ ইনিংসে তার মোট শিকার ৩৪টি। বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১৯ সালের চট্টগ্রাম টেস্টে তিনি নেন ১১টি উইকেট। টেস্ট বা প্রথম শ্রেণির চেয়ে সাদা বলের ক্রিকেটে রশিদের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। এরইমধ্যে তিনি খেলেছেন চারশর বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। আইপিএল, বিপিএল, বিগ ব্যাশ, সিপিএল, পিএসএলসহ বিশ্ব জুড়ে প্রায় সব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় তারকা তিনিই। এমন একজনকে না পাওয়া যে দলের জন্য বড় ধাক্কা, ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে তা খোলামেলাই বললেন আফগান কোচ। “রশিদের মতো ক্রিকেটারের বিকল্প পাওয়া খুব কঠিন। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে খেলার অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি ও টেস্টের মধ্যে বৈচিত্র আছে। টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবেও তার অভিজ্ঞতা আছে। তো আমরা অবশ্যই তাকে মিস করব।” দলের সেরা বোলারকে না পাওয়ার সাময়িক এই হতাশা ট্রট ভুলে থাকতে চাইছেন সামনের সম্ভাবনায় তাকিয়ে। “আমি মনে করি, সে এখন বিশ্রাম পাবে। সামনে এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপসহ আমাদের আরও অনেক খেলা বাকি। আমি আশা করছি, সে এখন সময় পেয়ে সামনের কয়েক মাসের টুর্নামেন্টগুলোর জন্যে নিজেকে গুছিয়ে নিতে পারবে।” রশিদের না থাকা বাংলাদেশের জন্য নিশ্চিতভাবেই বড় স্বস্তি। তবে এই যুগে এমন কিছু প্রকাশ্যে স্বীকার করেন কে! বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লিটন দাস যেমন আগেই বলে রেখেছেন, রশিদ না থাকলেও আফগানদের সমান সমীহই করছে তার দল। “রশিদ থাকলেও যেভাবে গুরুত্বের সঙ্গে নিতাম, সে নেই, এখনও একইভাবে এগোব। টেস্ট ক্রিকেটে আমাদেরও বিরতি পড়েছে। সর্বশেষ আমরা এপ্রিলে খেলেছি। তারপর সাদা বলের সংস্করণে গেছি। আমার মনে হয়, তাদের চেয়ে আমরা এক দিক দিয়ে ভালো। আমরা অনেক দিন ধরে টেস্ট ক্রিকেট খেলছি, আমাদের পরিপক্বতাও বেশি কারণ আমরা অনেক টেস্ট ক্রিকেট খেলি এখন।”