এফএনএস: রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে তোশাখানা জাদুঘর পরিদর্শন করেছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে তিনি জাদুঘরের বিভিন্ন কক্ষের স্থাপনা পরিদর্শন করেন। তিনি সেখানে প্রায় ৩০ মিনিট অবস্থান করেন। বঙ্গভবনকে একসময় ‘মানুক বাড়ি’ বলা হতো। এরপর এটিকে ‘গভর্নর হাউস’ হিসেবে গণ্য করা হয়। ইসলামিক এবং বাংলা স্থাপত্যের সঙ্গে ভিক্টোরিয়ান স্থাপত্যের এক অনন্য সমন্বয়ে নির্মিত ভবনটি এখন রাষ্ট্রপতির অফিস এবং বাসভবন। তোশাখানা জাদুঘর ভবনটি নানা দেশের বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের উপহার এবং ঐতিহাসিক আলোকচিত্র দ্বারা সুসজ্জিত। বঙ্গভবনের সার্বিক তত্ত¡াবধানে এ জরাজীর্ণ তোশাখানা চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আধুনিকায়ন করে জাদুঘরে রুপান্তর করা হয়। ২০২৩ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালিন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বঙ্গভবন তোশাখানা জাদুঘরের সংস্কারকৃত ভবন উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে এটিকে সীমিত পরিসরে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। জাদুঘর পরিদর্শনের পর রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এটি নিঃসন্দেহে ভালো কাজ। সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। তিনি বলেন, ইতিহাস মানুষকে অতীত ও ভবিষ্যতের পথ দেখায়। বঙ্গভবন বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অনন্য নিদর্শন। দেশের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বঙ্গভবনে অবস্থিত তোশাখানাটি আমাদের বর্ণাঢ্য সেই ইতিহাস ও ঐতিহ্যকেই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে তুলে ধরবে বলে রাষ্ট্রপ্রধান মনে করেন। তিনি বলেন, তোশাখানায় প্রদর্শিত উপহারসামগ্রী ও বিভিন্ন সময়ের স্থিরচিত্রসমূহ অতীতের সঙ্গে বর্তমান ও ভবিষ্যতের যোগসূত্র স্থাপনে অবদান রাখবে। দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীরা ভবনটি পরিদর্শনকালে যাতে দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারে কর্তৃপক্ষকে সে লক্ষ্যে উদ্যোগ নেয়ারও আহŸান জানান তিনি। তোশাখানা জাদুঘর বঙ্গভবন ও দেশের জনগণের মধ্যে দূরত্ব দূর করার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি। পরে রাষ্ট্রপতি সেখানে দর্শনার্থী বইতেও সই করেন। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তার কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহউদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।