এফএনএস: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, সোনালি আঁশ হিসেবে খ্যাত পাটের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি গভীরভাবে জড়িত। এ দেশের সংস্কৃতি ও কৃষ্টির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পাট ও পাটজাত পণ্য দেশে যেমন গুরুত্বের দাবিদার, তেমনি বিশ্ব বাজারেও এটি একটি অনন্য পরিবেশবান্ধব পণ্য হিসেবে সমাদৃত। তাই কৃত্রিম তন্তুর পরিবর্তে পাটের ব্যবহার পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। গতকাল রোববার ‘জাতীয় পাট দিবস-২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এ কথা বলেন তিনি। রাষ্ট্রপতি বলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘জাতীয় পাট দিবস-২০২২’ উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এবারের জাতীয় পাট দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সোনালি আঁশের সোনার দেশ, পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে যথাযথ হয়েছে বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে পাটখাতকে সুসংহত ও গতিশীল করার উদ্যোগ নেন। পাটখাতের উন্নয়নে নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ফলে বর্তমানে জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরে পাটের চাহিদা বৃদ্ধির জন্য ইতোমধ্যে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’ এবং ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার বিধিমালা, ২০১৩’ প্রবর্তন করা হয়েছে। পাট চাষসহ পাটখাতের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন ও সুরক্ষার লক্ষ্যে ‘পাট আইন, ২০১৭’ প্রণয়ন করা হয়েছে। বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্যোক্তারা ২৮২ প্রকার দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছে। আবদুল হামিদ বলেন, পাটশিল্পের বিকাশে পরিবেশবান্ধব পাটজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি বিপণনের জন্য বহির্বিশ্বে এসব পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ের জোরালো উদ্যোগ গ্রহণ করা আবশ্যক। আমি আশা করি, বিশ্বব্যাপী পাট ও পাটজাত পণ্যের বাজার স¤প্রসারণের মাধ্যমে পাট চাষিরা পাটের ন্যায্য মূল্য পাবে এবং দেশের অর্থনীতি অধিকতর সমৃদ্ধ হবে। রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, বাংলাদেশের সোনালি আঁশ পাট থেকে উৎপাদিত বহুমুখী পণ্যকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে দিতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে-এ প্রত্যাশা করি। আমি ‘জাতীয় পাট দিবস-২০২২’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।