এফএনএস লাইফস্টাইল: স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পেরিয়ে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করার পর থেকেই যেন ধীরে ধীরে বদলে যেতে থাকে জীবনের গতিবিধি। সেই ছোটবেলার দুশ্চিন্তাহীন জীবন যেন হঠাৎ করেই হারিয়ে যায়। বয়স যত বাড়তে থাকে, ততই যেন জীবনের ইঁদুরদৌড় বাড়তে থাকে। হার-জিত, সফলতা-ব্যর্থতা, আনন্দ-কষ্ট- সবকিছুকে সঙ্গে নিয়ে চলতে চলতে শরীর ও মন ক্লান্ত হয়ে পড়ে। সফল হওয়ার চেষ্টা যেন ভারী পাথর হয়ে জেঁকে বসে আমাদের মস্তিকে। আসলেই কি জীবনে এত চাপ প্রয়োজন আছে? জীবনযাপনে সহজ কিছু পরিবর্তন এনে উদ্বেগ ও মানসিক চাপমুক্ত জীবন পেতে পারেন।
১। জীবনে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রয়োজন। সেই পরিকল্পনা ধরে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। দেখবেন বাড়তি দুশ্চিন্তা কমে যাবে অনেকটাই।
২। আয় শুরু করলে অর্থ সঞ্চয়ের প্রতি মনোযোগী হোন। জীবনের অনেক কঠিন পরিস্থিতিতে অর্থই কাজে আসবে। সঞ্চয় ঠিকঠাক হলে তাই ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তা কমে যাবে।
৩। নিজের যোগ্যতা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হোন। অন্যরা আপনাকে নিয়ে কী ভাবছে, সেই চিন্তা থেকে মুক্ত থাকা জরুরি। নাহলে নিজের মানসিক সুখ ও শান্তি হারিয়ে যাবে।
৪। কোনো বিষয়ে খুব বেশিদিন মন খারাপ করে থাকবেন না। একান্তই সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। কারণ বেশিদিন মন খারাপ থাকলে সেটা একপর্যায়ে হতাশায় পরিণত হতে পারে।
৫। স্বাস্থ্যকর খাবার খান। পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন। সর্বোপরি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে মনোযোগী হোন। কারণ শরীরের সঙ্গে মনের সংযোগ কখনও অস্বীকার করা যায় না। শরীর সুস্থ থাকলে মনও ভালো থাকবে।
৬। জীবনে কাজের চাপ থাকবেই। সেটা সামলে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। এই সুন্দর মুহূর্তগুলোই আপনাকে রাখবে নির্মল।
৭। আশাবাদী ও ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করুন। নেতিবাচক মনোভাব দূর করার জন্য আশপাশে রাখুন এমন মানুষ যারা আপনাকে বিভিন্নভাবে ইতিবাচক থাকতে সাহায্য করবে।
৮। দিনে অন্তন ৫ মিনিট ধ্যান করার চেষ্টা। সম্পূর্ণ মনোযোগ দিন নিজের শ্বাসপ্রশ্বাসের উপর। এই অভ্যাস আপনার মনসংযোগ বাড়াবে।
৯। অবসর সময় কাটান নিজের পছন্দের কাজ করে। মনোবিদরা বলছেন, এই অভ্যাস মনকে ভালো রাখতে খুবই উপকারী।
১০। ভোরে ঘুম থেকে উঠে কিছুক্ষণ ব্যায়াম করুন। শরীর ও মন দুই-ই ভালো থাকবে।