বটিয়াঘাটা (খুলনা) অফিস \ বটিয়াঘাটা উপজেলার ৭ নাম্বার আমিরপুর ইউনিয়নের রামভদ্রপুর গ্রামে থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে অভিযান কালে তক্ষক সহ ২ প্রতারক আটক করতে সক্ষম হয়। অন্য ৪/৫ জন প্রতারক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়। ধৃতরা হলো উপজেলার আমিরপুর ইউপির রামভদ্রপুর গ্রামের সকুর শেখের পুত্র মনিরুল শেখ(৪৫) ও কিসমত কুরিঘাটা গ্রামের তায়েব ফকিরের পুত্র ইমরান ফকির (৩৮)। পুলিশ জানায়, উপজেলার রামভদ্রপুর গ্রামের মুন্নাফ এর পুত্র অলিদ প্রায় ১৬ ইঞ্চি লম্বা ১টি তক্ষক ১কোটি টাকা বিক্রিয় করার চেষ্টা করে আসছে। এমন গোপন সংবাদ পেয়ে পুলিশ ছদ্মবেশে ক্রেতাসেজে বস হয়ে টাকার ব্যাগের ভেসে তারমধ্যে পিস্তল ও ওয়ারলেস সহ আন্যান্য মালামাল ও সঙ্গীয় ফোর্সনিয়ে অলিদের বাড়ির পিছনপাশে তারা অবস্থান গ্রহন করে। রাত ১০টার দিকে ১টি তক্ষক সিমেন্টের ব্যাগে করে নিয়ে আসে ৬/৭ জনের ১টি প্রতারক চক্র। তাদের সাথে পুলিশের টিমের ৩০ লক্ষ টাকায় ক্রয় বিক্রয় চুক্তি সম্পন্ন হয়। পরে তক্ষক হস্তান্তরের সময় পুলিশ ২ প্রতারক সহ তক্ষক আটক করে। এসময় বাকী প্রতারক ৪/৫জন ধস্তাধস্তির মধ্যে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। অভিযানে নেতৃত্বদেন ভান্ডারকোর্ট ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই প্রভাষ চন্দ্র সাহা, এএস আই গোলাম রসূল ও আলম সরদার সহ সঙ্গীয় ৪ জন ফোর্স। বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ শওকত কবির, ওসি তদন্ত মোঃ জাহেদুর রহমান জানান, আসন্ন ঈদ উল আজহাকে সামনে রেখে মাদক কারবারি, বিভিন্ন প্রতারক চক্র সক্রিয় হচ্ছে। তাই উপজেলা বসীকে এদের খপ্পর থেকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। ঈদ কে কেন্দ্র করে বটিয়াঘাটা থানা পুলিশ ঐ সকল অপরাধীদের বিরুদ্ধে রুটিন মাফিক বিভিন্ন অভিযান সহ তৎপরতা অব্যহত রেখেছে। সতর্কতার সথে অপতৎপরতা করীদের বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা চলমান রেখেছে।