কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি \ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই-২০২৩) বেলা ১২টার দিকে ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেছেন সাতক্ষীরা সিআইডির পরিদর্শক হারুন অর রশিদ হারুন। তিনি এসময় ঘটনাস্থানে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের কাছে গৃহবধু হত্যার ঘটনার বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আবাদচন্ডিপুর গ্রামের মৃত আফিল উদ্দীন গাজীর ছেলে সামসুর গাজী তার মেয়ে ফতেমা খাতুনকে পিটিয়ে হত্যা করে আম গাছে ঝুলিয়ে রাখার ঘটনায় দীর্ঘদিন পরে গত ২০ জুন ২০২৩ একটি সিআর-২০৩/২৩ মামলা করেন। মামলার আসামীরা হলো-কলারোয়ার শ্রীপতিপুর গ্রামের শেখ মানিক, শেখ আব্দুল হাই, জালালাবাদ গ্রামের তরিকুল ইসলাম, মির্জাপুর গ্রামের নয়ন হোসেন, শ্রীপতিপুর গ্রামের মারুফ হোসেন, শ্রীপতিপুর গ্রামের বিপ্লব হোসেন ও শেখ সবুজ। আদালত মামলাটি সাতক্ষীরা সিআইডি পুলিশকে তদন্ত করে আগামী ৯ আগষ্ট ২০২৩ এর মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। মামলার বাদী সামসুর গাজী জানান, পুলিশ ২০২১সালের ৭ফেব্রæয়ারি কলারোয়া উপজেলার শ্রীপতিপুর গ্রামের শেখ আব্দুল হাই এর বাড়ীর একটি আমগাছে ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় শেখ আহসানের স্ত্রী আমার কন্যা ফাতেমা বেগম এর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। আসামীরা দলবদ্ধ হয়ে ঘটনার দিন শনিবার (৬ ফেব্রæয়ারি-২০২১) রাতে নিহত ফাতেমার শ্বশুর বাড়িতে পরিত্যক্ত একটি কক্ষে তাকে আটক করে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে লাশ বাড়ির পাশের একটি আম গাছের ডালে ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালায়। বহু দিন পরে এলাকায় আমার কন্যা ফাতেমা হত্যার কথা আসামীরা স্বীকার করায় তিনি সকল তথ্য প্রমানদি জোগাড় করে আদালতে মামলা করেন। বর্তমানে সেই মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। তিনি প্রশাসনের কাছে তার মেয়ে হত্যার বিচার দাবী করেন।