কুশোডাঙ্গা (কলারোয়া) প্রতিনিধি \ তীব্র তাপদাহ শেষে আষাঢ়ের বৃষ্টিতে এবার কুশোডাঙ্গার মাঠে মাঠে দেখে যাচ্ছে পাটের বাম্পার ফলন। এবছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে জেলায় বেশি পাট উৎপাদন হবে বলে আশাবাদী কৃষক ও সংশ্লিষ্টরা পাট চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চৈত্র-বৈশাখ মাসে পাটের বীজ বোনার পর কুশোডাঙ্গার পাট চাষিরা কিছুটা শঙ্কিত ছিল। কারণ সেই সময় তীব্র খরার ফলে পাটের চারা গজাতে কিছুটা দেরি হচ্ছিল। কিন্তু বৈশাখ মাসের শেষের দিকে বৃষ্টিপাত দেখা দেওয়ায় পাট চাষ ভালো হয়েছে। আষাঢ় মাসের শুরুতে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়াতে পাটের চারা তাড়াতাড়ি বাড়তে শুরু করে। এ বছর কলারোয়া কৃষি অফিস থেকে কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের পাট চাষিদের কৃষি প্রণোদনার আওতায় কৃষককে বিনামূল্যে সার ও পাটের বীজ দেওয়া হয়েছে। পাটুলিয়া গ্রামের পাট চাষি মোঃ ইছরাপ হোসেন বলেন, এবার আমি ৩ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। শুরুতে অনাবৃষ্টি আর তীব্র খরার কারণে পাটের চারার কিছুটা ক্ষতি হলেও বৈশাখ মাসের শেষে এবং আষাঢ় মাসের শুরুতে বৃষ্টি বেশি হওয়ায় ভালো ফলনের আশা করছি। পিছলাপোল গ্রামের পাট চাষি শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি এবার এক বিঘা পাটের চাষ করেছি। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে পাট চাষ ভালো হবে। এ চাষে খরচ কম লাভ বেশ ছোট ছলিমপুর গ্রামের শরিফুল বলেন, আমরা সরকারের কাছ থেকে সার ও বীজ পেয়েছি। পাট কাটা ও জাগ দেওয়ার সময় অনেক সময় আমাদের শ্রমিক সংকট দেখা দেয়। তাই নির্দিষ্ট সময়ে যদি শ্রমিক পায় তাহলে পাট কেটে জাগ দিয়ে ভালো অর্থ পাব। কলাটুপি গ্রামের আরিজুল বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবার আমি এক বিঘা জমিতে পাটের চাষ করেছি। আমাদের গ্রামের পুকুরে পাট জাগ দেওয়া ভালো হয়। আমাদেরও পাটের রঙ খুবই ভালো হয়। তাই পাটের দামও ভালো পায়। কলারোয়া উপজেলা কৃষি অফিসার আবুল হোসেন বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় এবার পাটের চাষ ভালো হয়েছে। সাথে সাথে সরকারের প্রণোদনা পাওয়ায় এবার পাট চাষিরা এ চাষে বেশি লাভবান হবে। এ চাষের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষি বিভাগ সব সময় কৃষকদের পাশে আছে। আমাদের কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীরা নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন ও তদারকি ও পরামর্শ প্রদান করছেন।