শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

চাকরি মিলবে পাঁচ দক্ষতায়

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১০ জুলাই, ২০২৩

এফএনএস লাইফস্টাইল: নিয়োগকর্তাদের কাছে আপনার কঠোর পরিশ্রম করার গুণই শেষ কথা নয়। এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, যোগাযোগ স্থাপনের মতো দক্ষতা ছাড়াও চাকরির বাজারে প্রার্থীদের আরো চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পারদর্শী হতে হবে। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এবং প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে এসব দক্ষতার বিকল্প নেই। আপনার স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেতে ৫টি দক্ষতার কথা তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞ পিয়ারসন।
যোগাযোগে পারদর্শী হওয়া
যোগাযোগ শুধুমাত্র চেনা-জানা মানুষের সাথে স্থাপন করা যায় তা নয়। কোনো সংকোচ ছাড়াই কিভাবে আপনার চিন্তাভাবনা এবং ধারণাগুলো অন্যকে জানাবেন সে সর্ম্পকে আপনার অবশ্যই পারদর্শী হতে হবে। অন্যান্যের কথা শোনা, বোঝা এবং তাদের ধারণার সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়াটা গুরুত্বপর্ণ। সে জস্য অবশ্যই আপনাকে যোগাযোগে পারদর্শী হতে হবে।
গ্রাহকসেবায় অনন্য
কোনো ব্র্যান্ড এবং বাজারকে বৃদ্ধি করতে চাইলে গ্রাহকসেবাকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। সেজন্য ভালো গ্রাহকসেবা দিতে পারে এমন কর্মী প্রয়োজন। যদি একজন ক্রেতার বাজে অভিজ্ঞতা হয়, তাহলে সে অন্য ব্র্যান্ডের দিকে চলে যাবে। তাই গ্রাহকসেবায় পারদর্শী হওয়া জরুরি।
নেতৃত্বের গুণাবলী
যদি আপনার মাঝেব নেতৃত্বের গুণাবলী না থাকে তবে খুব সহজেই আপনার দল বা সংগঠনের পতন ঘটবে। প্রতিবেদন অনুযায়ী বর্তমানে ভালো নেতার অভাব রয়েছে। নেতাদের অবশ্যই তরুণদের অনুপ্রাণিত করার ক্ষমতা থাকতে হবে। দলগত কাজ করার ক্ষমতা থাকতে হবে। আর তেমন গুণ রয়েছে কিনা তা দেখতে চাইবে নিয়োগকর্তারা।
সহযোগিতার মনোভাব
অন্যদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণভাবে কাজ করে যাওয়ার বিষয়টা সবার জন্য সহজ নয়। সবাই মনে করেন, তারা পারবেন। কিন্তু ফলাফলে অনেককেই ব্যর্থ হতে দেখা যায়। আপনার জন্য ভালো হয় দলের সাথে আলোচনা করা, তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করা এবং সবসময় যোগাযোগ রাখা।
ছোটখাটো বিষয় নজরে রাখা
কর্মক্ষেত্রে কেবল বড় কাজে নজর রাখাই আপনার একমাত্র দায়িত্ব হতে পারে না। ছোটখাটো যা ঘটে চলেছে তার সবকিছুতেই নজর রাখতে হবে। আর এ কাজটি কিন্তু মোটেও সহজ নয়। তাই এ গুণটাও আপনার মাঝে দেখতে চান নিয়োগকর্তারা। সূত্র: ই টাইমস

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

দিনটা শুরু হবে চায়ে, না কফিতে? জানুন কোনটা ভালো সকালের শুরুটা কেমন হয়, পুরো দিনের ওপর তার একটা ছাপ পড়ে। কেউ সকালে উঠে চায়ের কাপ হাতে না পেলে যেন দিনই শুরু করতে পারেন না, আবার কেউ আছেন কফির তীব্র গন্ধ ছাড়া সকাল কল্পনাই করতে পারেন না। এই দুটি পানীয় শুধু স্বাদের জন্য নয়, বরং অভ্যাস, সংস্কৃতি এবং মানসিক প্রশান্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—সকালের জন্য কোনটা ভালো? চা নাকি কফি? এই নিয়ে নানান জনের নানান মত। চাপ্রেমীরা বলবেন চায়ের কথা তেমনি কফিপ্রেমীদের ভোট থাকবে কফিতে। আসুন জেনে নেই আসলে স্বাস্থ্যকর দিক থেকে কোনটি সবচেয়ে ভালো। বিশ^জুড়ে কোটি কোটি মানুষ দিনের শুরু করে এক কাপ চা দিয়ে। বিশেষ করে উপমহাদেশে চা শুধু পানীয় নয়, এক ধরনের সংস্কৃতি। আমাদের দেশে সকালে বাসার বারান্দায় বসে কড়া লাল চা কিংবা দুধ চা পান করার অভ্যাস অনেক পুরোনো। চায়ে উপস্থিত থাকে ক্যাফেইন, তবে তা কফির তুলনায় অনেক কম। এজন্য চা ধীরে ধীরে কাজ করে, মাথা ঠান্ডা রাখে এবং এক ধরনের প্রশান্তি দেয়। এতে থাকা এল—থিয়ানিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং মনোযোগ বাড়ায়। যাদের সকালে অতিরিক্ত উত্তেজনা বা নাড়া—চাড়া একদম পছন্দ নয়, তাদের জন্য চা একটি আদর্শ পানীয় হতে পারে। অন্যদিকে কফি হচ্ছে সকালের সেই পানীয়, যা অনেকের চোখ খুলে দেয়। যাদের সকালে কাজে নেমে পড়তে হয় দ্রুত, তাদের কাছে কফি যেন এক অলৌকিক শক্তির উৎস। এতে থাকা বেশি পরিমাণ ক্যাফেইন খুব দ্রুত কাজ করে, মনোযোগ বাড়ায়, ক্লান্তি দূর করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক কাপ ব্ল্যাক কফি সকালবেলা শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে এবং ফ্যাট বার্নিংয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখে। তাই যারা স্বাস্থ্য সচেতন, তাদের অনেকেই সকালে কফিকেই বেছে নেন। কোনটা বেশি স্বাস্থ্যকর? চা এবং কফি—দু’টোর মধ্যেই রয়েছে স্বাস্থ্য উপকারিতা। চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ক্যাটেচিন এবং ফ্ল্যাভোনয়েডস হৃদরোগ, ক্যানসারসহ নানা জটিল রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। গ্রিন টি তো একেবারে স্বাস্থ্য সচেতনদের প্রিয়। অন্যদিকে কফির মধ্যেও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং নানা উপকারী উপাদান যা টাইপ—২ ডায়াবেটিস, পারকিনসনস ডিজিজ এবং অ্যালজাইমার্স প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। তবে একটা বড় পার্থক্য হলো—কফির অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণে উদ্বেগ, ঘুমের সমস্যা, হৃদকম্পন ইত্যাদি হতে পারে। অন্যদিকে চা তুলনামূলকভাবে বেশি সহনীয় এবং দীর্ঘমেয়াদে কম পাশ^র্প্রতিক্রিয়ামূলক। জীবনধারা ও অভ্যাস নির্ভর সকালে চা ভালো, না কফি—এই প্রশ্নের উত্তর অনেকাংশেই নির্ভর করে ব্যক্তির জীবনধারা ও স্বাস্থ্যের ওপর। কেউ যদি খুব সকালে উঠে ধীরে ধীরে দিন শুরু করেন, কিছুক্ষণ বই পড়ে, প্রার্থনা করেন বা নিজেকে সময় দেন—তাদের জন্য চা একটি উপযুক্ত সঙ্গী। আবার অফিস শুরু হতেই যদি ছুটতে হয়, মাথা ঠান্ডা রাখতে না পারলে সমস্যা হয়, তবে এক কাপ কফি প্রয়োজনীয় জ্বালানির মতো কাজ করে। অনেকেই আবার দুটোই পছন্দ করেন—সকালে কফি, বিকেলে চা। এতে শরীর ও মন দুটোকেই যথাযথভাবে সাড়া দেওয়া যায়।চা বনাম কফি, এই লড়াইয়ে নির্দিষ্ট করে জেতার কেউ নেই। বরং আপনার শারীরিক চাহিদা, মানসিক অবস্থা, এবং সকালের অভ্যাস—এই তিনটাই ঠিক করে দেবে কোনটা আপনার জন্য উপযুক্ত। কেউ হয়তো সকালে এক কাপ লাল চা নিয়ে প্রকৃতির শব্দে মুগ্ধ হন, আবার কেউ কফির তীব্রতায় জেগে উঠে নতুন দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত হন। দিনের শুরুটা হোক যেভাবেই চা বা কফি, দুটোই যদি আপনাকে ইতিবাচকতায় ভরিয়ে তোলে, তবে সেটাই আপনার জন্য সেরা সকাল।

© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com