এফএনএস স্বাস্থ্য: অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার তখনই হয় যখন এর কোষগুলো মিউটেশনের মধ্যে যায় এবং কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে। এতে টিউমার গঠন হয়। পেটের একটি গ্রন্থি অগ্ন্যাশয়, যা থেকে নিঃসৃত পাচকরস হজমে সাহায্য করে। এটি শর্করার বিপাকক্রিয়াও নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
এমন অবস্থায় অগ্ন্যাশয়ের সুস্থ কোষগুলো কাজ বন্ধ করে দেয়। সেই সঙ্গে কোষের বৃদ্ধি অনিয়ন্ত্রিত হয়ে ওঠে।
ভারতের মেডিকেল অনকোলজিস্ট ড. তানভি স্যুদের মতে, অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় করা কঠিন। ফলে বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও কমতে থাকে।
এই রোগের পরিচিত লক্ষণগুলো জন্ডিস, বমি ভাব, বমি হওয়া, ডায়রিয়া, রক্তস্বল্পতা, তলপেটে ব্যথা, ওজন হ্রাস, অবসাদ ইত্যাদি। সার্জারি, কেমোথেরাপি এবং রেডিয়েশন থেরাপিতে রোগমুক্ত হওয়া সম্ভব।
নারীদের সবচেয়ে বেশি যে ক্যান্সার হয় তার মধ্যে অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার অষ্টম স্থানে রয়েছে। জীবনযাপনে কিছু বাজে অভ্যাস এই ক্যান্সারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এদের সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যাক।
ধূমপান
ধূমপান সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে ফেলে। প্রায় ২০-৩০ শতাংশ নারীর অগ্ন্যাশয় ক্যান্সার হয় তামাক গ্রহণের কারণে।
মেদ বৃদ্ধি
মেদ বৃদ্ধিও অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারের ঝুঁকি ২০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। মানুষের অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির সঙ্গে ঝুঁকিও বাড়তে থাকে।
ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিক রোগীদের মধ্যে অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারের আশঙ্কা বেশি দেখা যায়। শিশু এবং কিশোরদের মেদ বৃদ্ধিতে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ব্যাপক ভ‚মিকা রয়েছে। এতে অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ে।
অ্যালকোহল পান
অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনেও অগ্ন্যাশয় ক্যান্সার হতে পারে। যারা অ্যালকোহল পানে অভ্যস্ত, তাদের এই ক্যান্সারের ঝুঁকি অন্যান্যের চেয়ে অনেক বেশি থাকে।
প্রক্রিয়াজাত মাংস
প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়ার ফলে অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিওএইচও) মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর তালিকায় বছরে আরো ১২ হাজারের বেশি যোগ হবে। সূত্র : ই টাইমস