বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০১:৩২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সুন্দরবনে বিএসএফের রেখে যাওয়া ৭৫ জনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর দেবহাটা বিএনপির সদস্য নবায়ন উদ্বোধনী আয়োজনে জেলা বিএনপির আহবায়ক রহমাতুল্লাহ পলাশ বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন যুবদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত কলারোয়ায যুবদল নেতার ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ মুন্সীগঞ্জে তাপদাহে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ শ্রীউলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা ভাড়াশিমলায় ২৫০ প্রান্তিক কৃষানের মধ্যে সবজির বীজ বিতরণ খুলনার সাবেক মহিলা কাউন্সিলর গ্রেফতার বসন্তপুর ফকিরপাড়া জামে মসজিদে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল

‘রান পেলেই সহজ, না পেলে কঠিন’

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৯ জুলাই, ২০২৩

এফএনএস স্পোর্টস: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকেই আলো ছড়াচ্ছেন তাওহীদ হৃদয়। গত বছর মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে প্রথমবার বাংলাদেশের জার্সি পরেন। ওই মাসেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক ম্যাচে দ্যুতি ছড়ানো হৃদয় ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন আফগানিস্তান সিরিজ পর্যন্ত। যেভাবে রান করছেন, তাতে করে মনে হতে পারে তার জন্য রান করা মোটেও কঠিন কোন কাজ নয়। যদিও হৃদয় জানিয়েছেন ভিন্ন কথা। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৯২ রানের ইনিংস খেলে গড়েছিলেন দেশের পক্ষে অভিষেকে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এরপর ধারাবাহিকভাবে রান করে চলছেন এই তরুণ ব্যাটার। পিছিয়ে নেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও। সবশেষ সিরিজে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে খেলেছিলেন ৪৭ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস। সব মিলিয়ে ৯ ওয়ানডেতে প্রায় ৫০ গড়ে ও টি-টোয়েন্টিতে ২৬ গড়ে রান করেছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। ১৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ফেলা হৃদয় মনে করেন রান করা মোটেও সহজ কোনো কাজ নয়, ‘না, সহজ না। রান পেলেই সহজ মনে হয়, না পেলে কঠিন। এটাই স্বাভাবিক। ওয়ানডেতে ফিফটি করলেও ফল তো পক্ষে আসেনি। আমার মনে হয় এই ফিফটির কোনো দাম নেই। সামনে এমন কোনো সুযোগ আসলে আরও ভালোভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবো।’ যুব ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর সবশেষ বিপিএলে ভালো করে জাতীয় দলে এসেছিলেন হৃদয়। তরুণ এই ব্যাটার ঠিকই জানেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কতটা কঠিন, ‘জাতীয় দল আর অনূর্ধ্ব-১৯ দল সম্পূর্ণ আলাদা। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের চেয়ে অবশ্যই জাতীয় দলের চ্যালেঞ্জ বেশি। আমি চেষ্টা করি সব খেলায় আমার যে কাজ সেটা ঠিকভাবে করার।’ হৃদয় অবশ্য ভালো-মন্দ এত কিছু ভাবতে চান না। ব্যাটার হিসেবে দলের জন্য কেবল ভ‚মিকা রাখতে চান তিনি, ‘ব্যাটার হিসেবে আমার ভ‚মিকাই হলো ব্যাট হাতে দলের জন্য অবদান রাখা। আমার অবদানে যদি দল জেতে তাহলে ভালো লাগে। শুধু আমার না, প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই অনেক ভালো লাগে। ম্যাচ শেষ করে আসলে আলাদা একটা ভালো লাগা কাজ করে।’ তরুণ ক্রিকেটার হয়েও ঠাÐা মাথায় ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনা করে ব্যাটিং করতে দারুণ পারদর্শী হৃদয়। মিডল অর্ডার এই ব্যাটার জানেন ঠাÐা মাথাতেই কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়, ‘ব্যাটিং এমন একটা জায়গা, এখানে মেজাজ ঠাÐা রাখা গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেক বল নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। বোলারের ঘুরে দাঁড়ানো সহজ। ব্যাটারের একটা ভুল হয়ে গেলে ফেরার আর সুযোগ থাকে না। ব্যাটার হিসেবে আমি অনুভব করি- আমি সবসময় শান্ত থাকবো এবং আমার পরিস্থিতির চাহিদা অনুযায়ী খেলবো।’ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দল হিসেবে একেবারেই ভালো কাটেনি বাংলাদেশের। ব্যক্তিগতভাবে ওতটা ভালো হয়নি হৃদয়েরও। প্রথম ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করলেও দলকে জেতাতে পারেননি। তবে এটিকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন হৃদয়, ‘ওয়ানডে সিরিজ আশানুরূপ হয়নি। এটাও ইতিবাচক, আমরা ভুলগুলো শুধরে সামনে বড় ইভেন্টে ভালো কিছু করতে পারবো। টি-টোয়েন্টিতে ভালো হচ্ছে, যতটা পারি ধরে রাখার চেষ্টা করবো। আপনি প্রত্যেকটা সিরিজ জিতবেন না। ছোট ভুল যত কম করতে পারবো ততই ভালো করা সম্ভব।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com