স্টাফ রিপোর্টার ঃ সাতক্ষীরায় কাশফুল কুরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রধান শিক্ষক হাফেজ বদরুজ্জামানের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টায় রসুলপুর এলাকাবাসীর আয়োজনে রসুলপুর কাশফুল মাদ্রাসা ও এতিমখানা কমপ্লেক্সের সামনে পৌর কাউন্সিলর শেখ শফিক-উদ-দ্দৌলা সাগরের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারহা দিবা খান সাথী, আ’লীগ নেতা মহিদুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন খান, মনিরুল ইসলাম, জুয়েল আহমেদ, হারুন উর রশিদ, রওশন আলী, সাইদুর রহমান, নোবেল হাসান, খোকন, অনিক ইসলাম, লিটন হোসেন, রতন হোসেন, বিপ্লব হোসেন, আখতারুজ্জামান, তৌহিদ হাসান, সরদার নাসির, রজন, হাবিবুলাহ, আব্দুস সবুর, আসমাউল হাসান, ওয়াজেদ আলী। বক্তারা বলেন, মাদ্রাসার প্রধান হাফেজ বদরুজ্জামানকে এলাকাবাসী ভালবাসতেন। মাদ্রাসা তৈরীর পর বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে মাদ্রাসার নামে টাকা আদায় করতে থাকেন। শুরুতেই মাদ্রাসার ৬০/৬৫ জন শিক্ষার্থী পড়তেন। কিন্তু এলাকাবাসীর ভালবাসার সুযোগ গ্রহন করে শিক্ষার্থীদের বলৎকার শুরু করে। জানতে পেরে অনেকে তাদের বাচ্চাদের নিয়ে যায়। হঠাৎ রসুলপুর ১টি শিশু ও বাবুলিয়ার ১টি শিশু ঐ হুজুরের বিরুদ্ধে বলৎকার বিষয় তাদের অভিভাবকদের জানান। তাৎক্ষনিক হুজুরের বিরুদ্ধে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা মুখ খুলতে শুরু করে। স্থানীয়রা ও অভিভাবকরা ঐদিন সন্ধ্যায় আকস্মীক মাদ্রাসায় আসলে হুজুর পালিয়ে যায়। বক্তারা আরো বলেন, এক পর্যায়ে সদর থানার পুলিশ ঘটনা স্থানে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। পরে পুলিশ স্থানীয় কাউন্সিলর ও এলাকাবাসীর সাথে নিয়ে ঐ হাফেজের নিজস্ব রুমে তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে। পরে একটি ড্রয়ার থেকে কিছু কনডম ও যৌন উত্তেজনা ঔষধ উদ্ধার করে। ঐ রাতে তার বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। তিনি বর্তমান পলাতক রয়েছে। এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা দুর্নীতিবাজ ও শিক্ষার্থী বলাৎকারী হাফেজ বদরুজ্জামানের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি করেছেন। এসময় এলাকার বিপুল সংখ্যক পুরুষ, নারী, শিশু মানববন্ধনে অংশ নেন।