কৃষ্ণনগর (কালিগঞ্জ) প্রতিনিধি \ কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগরে ভাড়াটিয়া বাসায় স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্য চেতনাশক ঔষধ খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামী। এঘটনায় স্বামী কালিগঞ্জ থানায় এক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর বাজারে এলাকায়। জানাগেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার চিংড়া গ্রামের তুলসী দেবনাথের বিধবা কন্যা মহুয়া দেব নাথ (৩৫) এর পাতানো প্রেমের ফাঁদে পা দেয় পাইক গাছা উপজেলার কৃষ্ণনগর সোনাতন নাথের পুত্র সুজন কুমার দেবনাথ (৪২)। পিতা মাতার জোরালো বাঁধা উপেক্ষা করে ২০১৫ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় মহুয়া দেবনাথ এর সাথে সুজন দেবনাথ। বিয়ের পর সুজন দেবনাথ ঢাকায় একটি বেসরকারি থাকেন। সুবাদে সেখানে বাসা ভাড়া করে বসবাস করতে থাকে দুজনে। এর মধ্যে মহুয়া দেবনাথ এনটি, আর, সি, ই এর মাধ্যমে কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের কালিকাপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসায় ২০২২ সালে ইংরেজি শিক্ষিকা হিসাবে শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করে। পাইকগাছা থেকে কালিগঞ্জ অনেক দূরত্ব হওয়ায় সে কৃষ্ণনগর বাজারে এলাকায় রওশান কাগুচীর বাসা ভাড়া করে সেখানে অবস্থান করে। অন্যদিকে স্বামী সুজন দেবনাথ ঢাকায় কোম্পানিতে চাকরি করায় দুজন দুই জায়গায় অবস্থান করায় মহুয়া দেবনাথ বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখাইয়া তার স্বামী সুজন কুমার দেবনাথ কে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে এবং কৃষ্ণনগরে ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করতে থাকে। স্বামীর কোন চাকরি না থাকায় আস্তে আস্তে মহুয়া দেবনাথ স্বামীর উপর বিভিন্ন সময় অমানুষিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত স্ত্রীর উপর অভিমান করে পূর্বের কর্মস্থলে ফিরে যায়। কিছুদিন যেতে না যেতেই মহুয়া সুজন দেবনাথের বন্ধুর মাধ্যমে পুনরায় স্বামীকে নিজের কাছে ফিরিয়ে আনে। আস্তে আস্তে মহুয়া দেবনাথ পুনরায় স্বামীর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে যায়। লোক লজ্জার ভয়ে অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করে স্ত্রীর সাথে বসবাস করতে থাকে। এর মধ্যে গত ১১ জুলাই মঙ্গলবার স্বামী স্ত্রীর মধ্যে খুঁটিনাটি বিষয়ের। এক পর্যায়ে মহুয়া দেবনাথ স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ধ্যা ৭ টায় চেতনা নাশক ঔষধ প্রয়োগ করে এলোপাতাড়ি আঘাত করে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তার ডাক চিৎকারে আশ পাশের লোকজন এসে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের আইসি ইউ তে ভর্তি করে। এ বিষয়ে বাসার মালিক কৃষ্ণনগর গ্রামের মৃত জিয়াদ আলীর পুত্র রওশান কাগুচীর কাছে জানতে চাইলে তিনি দৃষ্টি পাত কে বলেন কালিকাপুর দাখিল মাদ্রাসার ইংরেজি শিক্ষিকা মহুয়া দেবনাথ এর আচরণ খুবই খারাপ প্রায় সময় সে স্বামীর সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। বাজারের উপর বাড়ি হওয়ায় আমি তাকে অনেক বার নিষেধ করেছি কিন্তু সে আমার কথায় কর্ণপাত করে না। ঘটনার দিন আমি বাজারে ছিলাম মহুয়া দেবনাথ এর ফোন পেয়ে বাসায় এসে দেখি সুজন দেবনাথ অচেতন অবস্থায় ছটফট করিতেছে। এ অবস্থা কথা মহুয়ার কাছে জানতে চাইলে সে জানায় এটা তার জন্মগত স্বভাব। সুজনের মা ছায়ারানি জানান বিয়ের পর থেকে বউ প্রায় সময় তার নির্যাতন করত সর্বশেষ তাকে হত্যা করার চেষ্টা করে। তিনি তার ছেলেকে এ ধরনের দুর্র্ধর্ষ স্ত্রীর নিকট থেকে উদ্ধার সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট মহুয়া দেবনাথ এর শাস্তির দাবি জানান। মহুয়া দেবনাথ জানান আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তাহা মিথ্যা আমার স্বামী আত্মহত্যার চেষ্টা করলে আমি তাকে হাস পাতালে ভর্তি করি। এ বিষয়ে কালিগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক মিলন বিশ্বাস জানান অভিযোগ পেয়েছি উভয়কে নিয়ে এক জায়গায় বসে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।