বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
ইছামতির ভাঙ্গনে মৃত্যুমুখে দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভ পারুলিয়া বড়শান্তা সড়ক নির্মাণে অনিয়মের ছোয়া \ কর্তৃপক্ষ কি বলবেন? ঠিকাদারের গাফিলতিতে অতিষ্ট এলাকাবাসী ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে পল্লী উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পুকুরে গোসল করতে নেমে যুবকের মৃত্যু নিয়ন্ত্রন হারিয়ে যাত্রীবাহি বাস ধান ক্ষেতে \ পথচারী নারীর মৃত্যু একটি জাতিকে উন্নত শিখরে পৌঁছে হলে শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করতে হবে- ডাঃ আব্দুল মজিদ পাইকগাছায় পলিথিন ও প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে বনজীবীদের দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা আশাশুনি প্লাস্টিক ও পলিথিন দুষণ প্রতিরোধে গণশুনানি আশাশুনি মার্কেট লিংকেজ ও ভ্যালু চেইন নেটওয়ার্ক গঠন

পুরুষদের মোটেও পছন্দ নয় সঙ্গীর যে কাজ

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০২৩

এফএনএস লাইফস্টাইল: পুরুষরা তাদের জীবনের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সব সময় সঙ্গীকে জানাতে পছন্দ করেন না। বেশিরভাগ পুরুষই নিজের আবেগ গোপন রাখতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
ঠিক একইভাবে পুরুষরা চান না যে প্রেমিকা কিংবা স্ত্রী সেসব বিষয় নিয়ে কথা বলুক। নারীদের এমন কিছু কাজ আছে যা পুরুষরা একেবারেই পছন্দ করেন না। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কী কী কাজ-
বারবার একই প্রশ্ন করা
কোনো বিষয় সম্পর্কে বারবার প্রশ্ন কিংবা একই বিষয় নিয়ে কথা বলা পুরুষরা পছন্দ করেন না। অনেক নারীই তার সঙ্গীকে নানা বিষয় নিয়ে কথা শোনান, এতে পুরুষরা বিব্রতবোধ করেন।
বেশিরভাগ নারীই তার সঙ্গীকে চুপচাপ দেখলে নানা ধরনের প্রশ্ন করা শুরু করেন। যা পুরুষরা পছন্দ করেন না। এর কারণ হলো পুরুষরা সব বিষয় প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না।
হয়তো নানা বিষয়ে তারা চিন্তিত থাকেন বলেই চুপচাপ থাকতে পছন্দ করেন। এমন সময় নারী সঙ্গীর উচিত নয় তাকে জোরপূর্বক কথা বলানোর।
অবাস্তব প্রত্যাশা করা
রোমান্টিক সিনেমা দেখার পর নারীরা তাদের সঙ্গীর কাছ থেকে অবাস্তব প্রত্যাশা করে। পুরুষরা এমন বিষয় নিয়ে সঙ্গীর অভিযোগ গ্রহণ করতে পছন্দ করেন না। এ নিয়ে অনেক দম্পতির মধ্যে অশান্তিও দেখা দিতে পারে।
মিথ্যা বলা
নারীর কোনো বিষয় নিয়ে ভান করা বা মিথ্যা কথা বলার বিষয়টি একেবারেই পছন্দ করেন না পুরুষরা। বেশিরভাগ নারীই মনে করেন, বিষয়টি তার সঙ্গী টের পান না। পুরুষরা চান তার জীবনসঙ্গী যেন এসব করা থেকে বিরত থাকেন।
দীর্ঘক্ষণ ধরে সাজগোজ করা
কোথাও বের হওয়ার সময় দীর্ঘক্ষণ ধরে সাজগোজ করা কিংবা প্রস্তুত হতে ১০ মিনিটের জাগায় এক ঘণ্টা পার করার বিষয়টিও ভালোভাবে দেখেন না পুরুষরা। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

দিনটা শুরু হবে চায়ে, না কফিতে? জানুন কোনটা ভালো সকালের শুরুটা কেমন হয়, পুরো দিনের ওপর তার একটা ছাপ পড়ে। কেউ সকালে উঠে চায়ের কাপ হাতে না পেলে যেন দিনই শুরু করতে পারেন না, আবার কেউ আছেন কফির তীব্র গন্ধ ছাড়া সকাল কল্পনাই করতে পারেন না। এই দুটি পানীয় শুধু স্বাদের জন্য নয়, বরং অভ্যাস, সংস্কৃতি এবং মানসিক প্রশান্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—সকালের জন্য কোনটা ভালো? চা নাকি কফি? এই নিয়ে নানান জনের নানান মত। চাপ্রেমীরা বলবেন চায়ের কথা তেমনি কফিপ্রেমীদের ভোট থাকবে কফিতে। আসুন জেনে নেই আসলে স্বাস্থ্যকর দিক থেকে কোনটি সবচেয়ে ভালো। বিশ^জুড়ে কোটি কোটি মানুষ দিনের শুরু করে এক কাপ চা দিয়ে। বিশেষ করে উপমহাদেশে চা শুধু পানীয় নয়, এক ধরনের সংস্কৃতি। আমাদের দেশে সকালে বাসার বারান্দায় বসে কড়া লাল চা কিংবা দুধ চা পান করার অভ্যাস অনেক পুরোনো। চায়ে উপস্থিত থাকে ক্যাফেইন, তবে তা কফির তুলনায় অনেক কম। এজন্য চা ধীরে ধীরে কাজ করে, মাথা ঠান্ডা রাখে এবং এক ধরনের প্রশান্তি দেয়। এতে থাকা এল—থিয়ানিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং মনোযোগ বাড়ায়। যাদের সকালে অতিরিক্ত উত্তেজনা বা নাড়া—চাড়া একদম পছন্দ নয়, তাদের জন্য চা একটি আদর্শ পানীয় হতে পারে। অন্যদিকে কফি হচ্ছে সকালের সেই পানীয়, যা অনেকের চোখ খুলে দেয়। যাদের সকালে কাজে নেমে পড়তে হয় দ্রুত, তাদের কাছে কফি যেন এক অলৌকিক শক্তির উৎস। এতে থাকা বেশি পরিমাণ ক্যাফেইন খুব দ্রুত কাজ করে, মনোযোগ বাড়ায়, ক্লান্তি দূর করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক কাপ ব্ল্যাক কফি সকালবেলা শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে এবং ফ্যাট বার্নিংয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখে। তাই যারা স্বাস্থ্য সচেতন, তাদের অনেকেই সকালে কফিকেই বেছে নেন। কোনটা বেশি স্বাস্থ্যকর? চা এবং কফি—দু’টোর মধ্যেই রয়েছে স্বাস্থ্য উপকারিতা। চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ক্যাটেচিন এবং ফ্ল্যাভোনয়েডস হৃদরোগ, ক্যানসারসহ নানা জটিল রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। গ্রিন টি তো একেবারে স্বাস্থ্য সচেতনদের প্রিয়। অন্যদিকে কফির মধ্যেও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং নানা উপকারী উপাদান যা টাইপ—২ ডায়াবেটিস, পারকিনসনস ডিজিজ এবং অ্যালজাইমার্স প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। তবে একটা বড় পার্থক্য হলো—কফির অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণে উদ্বেগ, ঘুমের সমস্যা, হৃদকম্পন ইত্যাদি হতে পারে। অন্যদিকে চা তুলনামূলকভাবে বেশি সহনীয় এবং দীর্ঘমেয়াদে কম পাশ^র্প্রতিক্রিয়ামূলক। জীবনধারা ও অভ্যাস নির্ভর সকালে চা ভালো, না কফি—এই প্রশ্নের উত্তর অনেকাংশেই নির্ভর করে ব্যক্তির জীবনধারা ও স্বাস্থ্যের ওপর। কেউ যদি খুব সকালে উঠে ধীরে ধীরে দিন শুরু করেন, কিছুক্ষণ বই পড়ে, প্রার্থনা করেন বা নিজেকে সময় দেন—তাদের জন্য চা একটি উপযুক্ত সঙ্গী। আবার অফিস শুরু হতেই যদি ছুটতে হয়, মাথা ঠান্ডা রাখতে না পারলে সমস্যা হয়, তবে এক কাপ কফি প্রয়োজনীয় জ্বালানির মতো কাজ করে। অনেকেই আবার দুটোই পছন্দ করেন—সকালে কফি, বিকেলে চা। এতে শরীর ও মন দুটোকেই যথাযথভাবে সাড়া দেওয়া যায়।চা বনাম কফি, এই লড়াইয়ে নির্দিষ্ট করে জেতার কেউ নেই। বরং আপনার শারীরিক চাহিদা, মানসিক অবস্থা, এবং সকালের অভ্যাস—এই তিনটাই ঠিক করে দেবে কোনটা আপনার জন্য উপযুক্ত। কেউ হয়তো সকালে এক কাপ লাল চা নিয়ে প্রকৃতির শব্দে মুগ্ধ হন, আবার কেউ কফির তীব্রতায় জেগে উঠে নতুন দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত হন। দিনের শুরুটা হোক যেভাবেই চা বা কফি, দুটোই যদি আপনাকে ইতিবাচকতায় ভরিয়ে তোলে, তবে সেটাই আপনার জন্য সেরা সকাল।

© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com