বিশেষ প্রতিনিধি \ শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের পরানপুরে বহুদিনের জবরদখলকৃত হাতকাটা খাল ও লেবুখালী খাল জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। উপজেলার পরানপুর বাজার থেকে দুরমুজখালি সুইস গেট পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার হাতকাটা খাল (সুইস গেট খাল) ও পরানপুর সুইচগেট থেকে দুরমুজ খালি সুইচগেট পর্যন্ত সাড়ে ৪ কিলোমিটার লেবুখালী খাল দীর্ঘদিন যাবত পুরানপুর গ্রামের আফতাব গাজীর পুত্র আব্দুল বারেক গাজী, একই গ্রামের মৃত নুরালি গাইনের পুত্র খলিল গাইন, মাজেদ গাইনের পুত্র ফজলুর রহমান গাইন, মৃত কাসেম গাইনের পুত্র বনি আমিন গাইন, নরিম শেখের পুত্র জলিল শেখ, জিহাদ কাগুজীর পুত্র রব্বানী কাগুজী সহ তাদের বাহিনীরা খাল দুইটি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে গায়ের জোরে সর্বসাধারণের খাল দখলপূর্বক মাছ চাষ করে আসছিল। এলাকাবাসীরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমিকে জানালে গতকাল ২৬ জুলাই মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম আতাউল হক দোলন ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আসাদুজ্জামান সরজমিনে উপস্থিত হয়ে ভূমি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে লেবার শ্রমিক দিয়ে জবরদখলকৃত হাতকাটা খাল ও লেবুখালী খালের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন অত্র ইউনিয়ন সহকারী ভূমী কর্মকর্তা আইনুল হক, উপজেলা আ’লীগের উপদেষ্টা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, কৈখালী ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র কুমার মন্ডল, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলা সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আশরাফ, ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাগর কুমার মন্ডল, সাবেক ইউপি সদস্য লুৎফর রহমান নান্টু, সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ আবু বক্কর সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। দীর্ঘদিনের দাবি উক্ত খাল দুইটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ায় উৎফুল্ল চিত্তে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমিকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ ও সুধী মহল।