বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
জয়নগরে মন্দির ভিত্তিক স্কুলের সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সাথে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় শ্যামনগরে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির কর্মি টি এস অনুষ্ঠিত তালায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত সাতক্ষীরায় বিজয় দিবসে সদর উপজেলা বিএনপির র্যালি কলারোয়ায় টালি মালিক সমিতির নব—কমিটি গঠন সভাপতি গোষ্ট পাল ও সাধারণ সম্পাদক তুহিন সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী ও জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব ও আশাশুনি থানার বিজয় দিবস প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ নুসরাতের নৃশংস হত্যাকারী জনির ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন আশাশুনি আশার উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের জের নগরঘাটায় খাল পূনঃখননের

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৯ জুলাই, ২০২৩

বিলাল হুসাইন নগরঘাটা থেকে ঃ দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের জেরে তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নের জনসাধারণের দীর্ঘদিনের উপেক্ষিত দাবি খাল পূনঃখননে কাজ ইতিমধ্যে বাস্তবে রূপ নিয়েছে। ভরাট হয়ে যাওয়া খাল পূনঃখননের পর ফিরে পেয়েছে তার নব্যতা। যার ফলে এলাকার জনসাধারণে মাঝে একপ্রকার আশার আলোর সঞ্চার হয়েছে। উলে­খ্য ইতিপূর্বে এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একটি স্বচিত্র প্রতিবেদন সাতক্ষীরা থেকে বহুল প্রকাশিত পাঠক নন্দিত দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকায় “নগরঘাটায় জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল পূনঃখননের দাবি” শিরোনামে একটি বস্তুনিস্ট সংবাদ প্রকাশিত হয়। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের দৃষ্টি গোচর হলে পত্রিকায় রিপোর্টের কয়েক মাসের মধ্যে উক্ত খাল পূনঃখননের কাজ শুরু করে দেয়। জানাগেছে উক্ত খালটি কপোতাক্ষ নদের ধানদিয়া কৃষ্ণনগর সুইস গেইট থেকে খাল খননের কাজ শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে সেঁনেরগাতি বাজার ঘেঁষে নগরঘাটা ইউনিয়ন হয়ে বেদনা নদীতে এসে শেষ হয়। খাল খননের পর থেকে তাৎক্ষণিক ভাবে কপোতাক্ষ ও বেতনা নদীর সাথে সম্পৃক্ততা হয়ে যায়। প্রতিনিয়ত নদী থেকে জোয়ার ভাটার পানি সম্প্রতি খালে আসতে শুরু করেছে। নদীর পানি আসতে থাকায় সাধারণ মানুষদের মাঝে দেখা দিয়েছে এক প্রকার প্রাণ চাঞ্চল্য । এ ব্যাপারে কথা হয় নগরঘাটা বাগপাড়া গ্রামের মোঃ দাউদ আলী মোড়লের সাথে তিনি দৈনিক দৃষ্টিপাতকে জানান বহু বছর ধরে খালটি ভরাট হয়ে আছে। যে কারণে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম এলে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। একটু বৃষ্টিপাত হলেই এলাকার অধিকাংশ ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে যায়। ফলে ব্যাহত হয় কৃষকদের আমন ধান সহ বিভিন্ন ধরনের ফসলি জমির। পাশাপাশি মৎস্য ঘেরগুলো থাকে পানির নিচে। তাই ঘের মালিকরা থাকেন বেশ শঙ্কায়। প্রবল বর্ষণে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তা ঘাটগুলো খুব সহজে পানির নিচে তলিয়ে যায়। কৃষক বেলাল হোসেন জানান গত কয়েক বছর ধরে অল্প বৃষ্টিপাত হলেই বিল খালগুলো তলিয়ে যেতো। ফলে কৃষকরা আমন মৌসুমের ধান রোপন করা থেকে একেবারেই বিরত থাকে। তবে এ বছর খাল পুনঃখনেন পর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভয় না থাকায় আবার পূর্বের ন্যায় কৃষকরা আমন ধান চাষাবাদসহ বিভিন্ন ধরনের ফসলাদি চাষাবাদ শুরু করে দিয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com