কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি \ চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শুরু হয়েছে পাটকাটা। তবে পানির অভাবে জাগ দেয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পাট চাষিরা। উপজেলার অধিকাংশ খাল, বিল, ডোবা ও জলাশয়ে কোথায়ও তেমন পানি নেই। যেটুকু পানি আছে তা পাট পচানোর জন্য যথেষ্ট নয়। আর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর নদীতে পাট জাগ দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছে চাষিদের। পানির অভাবে ক্ষেতেই শুকিয়ে যাচ্ছে পাট, চিন্তাগ্রস্থ চোখে সে দৃশ্য দেখছেন কৃষক। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার দেয়াড়া, খোরদো, কামারালী, যুগিখালী, সোনাবাড়ীয়া, রাজপুর বিভিন্ন এলাকায় মাঠের পর মাঠ শুধু পাট আর পাট। কৃষকেরা পাট কাটা শুরু করলেও পানির অভাবে জাগ দিতে না পারায় পড়েছে হতাশায়। কারো কারো পাট কেটে ক্ষেতেই গাদাগদি করে রাখার ফলে সেগুলো শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ পাট কেটে গরুর গাড়ি, নসিমন ও ভ্যানে করে দুই তিন কিলোমিটার দূরের নদীতে জাগ দেয়ার জন্য নিয়ে যাচ্ছে। এতে তাদের অনেক বাড়তি টাকা খরচ হচ্ছে। কৃষকদের মধ্যে আমিনুর রহমান, কুদ্দুস শেখ, মিজানুর রহমান ও বাসুদেব জানান, পানির অভাবে তাদের অনেকেরই পাট ক্ষেতেই মরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ যদিও ভ্যানে বা গরুর গাড়িতে করে দূরে পাট নিয়ে যাচ্ছে তা আবার মেশিন দিয়ে পানি দিয়ে জাগ দিতে হচ্ছে কাদা পানিতে। এতে পাটের রং কালো হয়ে যাওয়ার শঙ্কা। ফলে তারা পাটের ন্যায্য দাম পাবে না। পাট চাষিরা এবার পথে বসে যাবে। কলারোয়া উপজেলার সদ্য বিদায়ী কৃষি অফিসার আবুল হোসেন মিয়া বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমাণ জমিতে পাট চাষ হয়েছে। তবে পানির অভাব থাকায় নদী বা অন্যত্র পাট জাগ দিতে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।’