শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৩ অপরাহ্ন

বহু জমি অনাবাদী থাকার আশাংকা

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০২৩

কলারোয়ায় বাড়তি দামে সেচ খরচের চুক্তিতে আমন ধান রোপন শুরু
কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি \ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় মধ্য শ্রাবণে কাঙ্খিত বৃষ্টির দেখা নেই। বাড়তি ২ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত সেচ খরচের চুক্তিতে আমন ধান রোপনের কাজ শুরু হয়েছে। জানা গেছে, আষাঢ় মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে প্রায়শঃ এক পশলা করে বৃষ্টিপাত হয়েছে। শ্রাবণ মাসেও সপ্তাহে ১/২ দিন বাদে প্রায় প্রতিদিন এক পশলা বৃষ্টি অব্যাহত আছে। কিন্তু সেই বৃষ্টির পানি কয়েক ঘণ্টা বা কিছুক্ষণের মধ্যে মাঠের বা বিলের তলদেশে যেয়ে জমছে। ফলে নীচু অঞ্চলে বৃষ্টির পানিতে আমন হচ্ছে। আবার অনেক মাঠ ও বিলের পানি পার্শ্ববর্তী খাল বা নদীতে চলে যাচ্ছে। ফলে বেশীর ভাগ মাঠঘাটে পানি নেই। এদিকে আমন ধান চাষের জন্য তৈরি পাতার বয়স বেড়ে যাচ্ছে। পাতার বয়স বেশী হলে ধানের ফলন কম হয়। আবার আমন চাষে বেশী বিলম্ব হলে শীতকালিন সরিষা চাষ সম্ভব হবে না। তাই চাষীকে বাধ্য হয়ে সেচ দিয়ে আমন ধান রোপন করতে হচ্ছে। এই সেচ খরচ এলাকা ভেদে কম বেশী রয়েছে। তবে সুযোগ পেয়ে এলাকা বিশেষে গলাকাটা সেচ খরচ আদায় করা হচ্ছে। উপজেলার লাউডুবি গ্রামের আজিজ জানায়, ৮০০ টাকায় এক সেচ নিয়ে ১ বিঘা জমি আমনধান রোপন করেছে। সম্পুর্ণ মৌসুম ২ হাজার ৬০০ টাকা চুক্তিতে উত্তর সোনাবাড়িয়া মাঠে সেচ দিয়ে আমন ধান রোপন শুরু হয়েছে বলে শহিদুল নামে এক চাষী জানায়। জয়নগরের জয়দেব সাহা ও ছলিমপুরের আরিফ জানায়, তাদের মাঠে সম্পুর্ণ মৌসুম ১ হাজার ৫০০ টাকা চুক্তিতে সেচ নিয়ে আমন ধান রোপনের কাজ শুরু হয়েছে। বৃষ্টিপাত জনিত কারণে পরে সেচ প্রয়োজন না হলেও চাষীদের চুক্তি অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করতে হবে সংশ্লিষ্ট সুত্র গুলো জানায়। উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জিয়াউল হক জনৈক আক্তারুজামানের মাধ্যমে কুশোডাঙ্গায় ১ হাজার ৫০০ টাকা মৌসুম চুক্তিতে সেচ নিয়ে আমন রোপন শুরু হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন বলে এই প্রতিবেদককে জানান। ঊলিয়ানপুর গ্রামের কৃষক মধু, পাচপোতার কৃষক আলফাজ, দাড়কির কৃষক খোকন জানায়, একদিকে ধানের দাম কম অন্যদিকে বর্ধিত দামে সার কীটনাশক কিনে ও বাড়তি সেচ খরচে আমন চাষ করে উৎপাদন খরচ উঠবে না। কিন্তু আগেই রোপনের জন্য ধানের চারা তৈরি, ধান রোপনের জমি চাষ করে রাখতে অনেক খরচ হয়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে গলকাটা দামে পানি কিনে ধান চাষ করতে হয়েছে। তবে বাড়তি খরচ করে অনেকের পক্ষে আমন আবাদ দূরহ হয়ে পড়বে। বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি না পেলে সেচের বাড়তি খরচ যোগানে অপারগ কৃষকদের জমি অনাবাদী থাকার আশাংকা রয়েছে। এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য একাধিক বার ফোন করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com