শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৫ অপরাহ্ন

কলারোয়ায় পানির অভাবে আমন আবাদে দুর্ভোগে কৃষকরা

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৪ আগস্ট, ২০২৩

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি \ বর্ষাকালেও অনেকটা অনাবৃষ্টির দরুণ পানির অভাবে ফসলী মাঠের আমন ধানের আবাদে চরম দুর্ভোগের রয়েছেন কৃষকরা। ফলে বাধ্য হয়ে সেচের উপর নির্ভর করে আমন আবাদ করতে হচ্ছে। আবহওয়ার বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় মৌসুমি বৃষ্টির অভাবের প্রভাব গিয়ে পড়েছে কৃষক পর্যায়ে। সব থেকে বেশি প্রভাব পড়ছে আমন ধানের আবাদে। পানির অভাবে কৃষক তার কাঙ্খিত ফসল ফলানো থেকে পিছিয়ে পড়ছেন। যার প্রভাব পড়তে পরে দেশের উপর। কলারোয়া উপজেলার প্রায় প্রতিটি মাঠে এমন চিত্র দৃশ্যমান। আমন ধানের আবাদ মূলত বর্ষা মৌসুমে হয়ে থাকে। বৃষ্টির পানির ফলে সেচ দিতে হয় না, এতে খরচও অনেকটা কমে যায়। কিন্তু বর্তমানে পানির অভাবে কৃষক আউশ ধানের আবাদ নিয়ে চিন্তিত। শুধু ধান নয় প্রতিটি ফসলের একই অবস্থা, পানির অভাবে নির্জিব প্রায়। কৃষকরা জানিয়েছেন, আমন আবাদে পূর্বে জমি তৈরীর জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে পানির প্রয়োজন পড়ে। এজন্য সেচের পানি যথেষ্ট নয়। বর্ষা মৌসুমেও আশানুরূপ বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষক তার কাঙ্খিত ফলনের জন্য বাধ্য হয়ে সেচের পানি দিয়ে কোন রকমে জমি তৈরীতে ব্যস্ত। জানা গেছে, অন্যান্য মাঠের মতো কলারোয়ার জয়নগরের মাঠে বিএডিসির সেচ প্রকল্পের ব্যবস্থা রয়েছে। নদীর পানির ব্যবহার করা যাচ্ছে না লোনার পানির কারণে। তাই ভূগর্ভের পানির ব্যবহারই একমাত্র উপায়। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়। শুধু তাই নয় বিদ্যুত বিভ্রাটের কারণে সেচ কার্যেও বিঘœ ঘটছে। ভুক্তভোগি কৃষকরা আরো জানান, কলারোয়ার প্রায় প্রতিটি মাঠের চিত্র এখন প্রায় একই। পানির অভাবে কৃষক আমনের আবাদ নির্বিঘেœ করতে পারছেন না। উপজেলার জয়নগরের কৃষক তরিকুল ইসলাম জানান, ‘তিনি ২ বিঘা জমিতে এবার আউশ ধানের আবাদ করছেন। অনাবৃষ্টির প্রতিকুলতা কাটিয়ে ধানের ফলন যে কেমন হবে সেই চিন্তায় রয়েছেন। বৃষ্টি না হলে চরম অবস্থার সম্মুখিন হতে হবে কৃষকদের। আরেক কৃষক মহানন্দ দাস জানিয়েছেন, ‘তিনিও ২ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপনের জন্য জমি তৈরি করছেন। তবে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় সেচের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে।’ কলারোয়া উপজেলা কৃষি অফিসার শুভ্রাংশু শেখর দাস জানান, এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে কৃষকরা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ, পর্যাপ্ত সেব ব্যবস্থা থাকায় ফলন ভালোই হবে বলে আশা করি। এ বছর আউশ ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১৭৫ হেক্টর জমিতে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com