এফএনএস স্পোর্টস: একসময় ভারতের সীমিত ওভারের দলে ইউজবেন্দ্র চেহেলের নামটি ছিল অবধারিত। দলের প্রথম পছন্দের স্পিনার ছিলেন তিনি। সময়ের পরিক্রমায় বদলে গেছে বাস্তবতা। দল থেকে বাদ পড়তে হয়েছে। পরে দলে ফিরলেও একাদশে এখন আর নিয়মিত নন এই লেগ স্পিনার। তবে সেই বাস্তবতা তিনি মেনে নিচ্ছেন সহজভাবেই। তার কাছে দলীয় খেলায় দলের প্রয়োজনই সবকিছুর আগে। চলতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের পুরোটায় দর্শক হয়েই ছিলেন চেহেল। স্পিনিং অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে ভারত আরেক স্পিনার হিসেবে বেছে নেয় কুলদিপ ইয়াদাভকে। বাঁহাতি এই রিস্ট স্পিনার প্রথম ম্যাচেই ¯্রফে ৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন। পরের ২ ম্যাচে তার শিকার ৩ উইকেট। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারত একাদশ সাজায় তিন স্পিনার নিয়ে। কিন্তু সেখানেও জায়গা হয়নি চেহেলের। জাদেজা ও কুলদিপের সঙ্গে নেওয়া হয় বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার আকসার প্যাটেলকে। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে অবশ্য সুযোগ পান চেহেল। একাদশে ঠাঁই মেলে তার কুলদিপ ও আকসারের সঙ্গে। জাদেজা ছিলেন বিশ্রামে। সুযোগ পেয়ে চেহেল খারাপ করেননি। ৩ ওভারে ২৪ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনারকেই তিনি ফেরান ম্যাচের পঞ্চম ওভারে। তবে তার পরও দ্বিতীয় ম্যাচে তার খেলার নিশ্চয়তা নেই। তা নিয়ে দুর্ভাবনা নেই বলেই দাবি করলেন চেহেল। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এই লেগ স্পিনার বললেন, ভারতের মতো একটি দলে স্কোয়াডের অংশ হওয়াটাও বড় ব্যাপার। “আমি খুশি যে ভারতের নীল জার্সি পরার সুযোগ পাচ্ছি এবং ঘরে বসে না থেকে দলের সঙ্গে সফরে থাকতে পারছি। এটা তো ব্যক্তিগত কোনো খেলা নয়। আমি দাবা খেলেছি, যেটি ব্যক্তিগত খেলা। কিন্তু এটা দাবা খেলা নয়। ক্রিকেট একটা দলীয় খেলা এবং ১৫ জন একসঙ্গে মাঠে যায়, ১১ জন মাঠে নেমে খেলে এবং আমরা সবাই মিলেই ম্যাচ জিতি।” ভারতের হয়ে ৭২ ওয়ানডে ও ৭৬ টি-টোয়েন্টি খেলা ৩৩ বছর বয়সী এই লেগ স্পিনারের মতে, দলীয় খেলার দলের প্রয়োজনই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। “গত দুই-তিন সিরিজে নিয়মিত খেলতে পারছি না আমি। আগে আপনারা দেখেছেন, ইংল্যান্ড বা ওয়েস্ট ইন্ডিজ, যেখানেই খেলা হোক, আমি খেলেছি আর কুলদিপ বসে থেকেছে। এখন অন্যরকম হচ্ছে। ক্রিকেটে দলীয় সমন্বয় দেখতে হয়, কোন দলের বিপক্ষে কোথায় খেলছি, এসব ভাবনায় রাখতে হয়। কালকে টার্নিং উইকেট থাকলে একাদশে তিন স্পিনারও দেখতে পারেন।”