এফএনএস লাইফস্টাইল: গত বছরের বন্ধু দিবসে যারা ছিল সঙ্গে, এ বছর তারা আর নেই! ফেসবুক মেমোরি দেখলে প্রায়ই বের হয়ে আসে দীর্ঘশ্বাস। একসময় বন্ধুদলের সঙ্গে এখানে সেখানে ঘুরতে যাওয়া হতো, চলতো হইচই আড্ডা। অথচ এখন প্রয়োজনেও খুঁজে পাওয়া যায় না সেই বন্ধুদের কাউকে। কেন ভেঙে যায় বন্ধুত্ব?
সময়ের অভাব
কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে হাতে ছিল অঢেল সময়। কিন্তু পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর পরিবার ও চাকরি নিয়ে বেড়ে যায় ব্যস্ততা। ফলে বন্ধুদের জন্য আর আগের মতো সময় বরাদ্দ রাখা সম্ভব হয়ে ওঠে না। একে অপরকে না দেখা বা নিয়মিত কথা না বলার কারণে ধীরে ধীরে বন্ধুদের মধ্যে বাড়তে থাকে দূরত্ব।
মনের মিল না হওয়া
বন্ধুত্ব তৈরি হওয়ার পর আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে যেতে থাকে স্বাভাবিকভাবেই। পথ চলতে চলতে হয়তো একসময় গিয়ে দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দুই বন্ধুর মনের মিল হচ্ছে না। নীতিগত পার্থক্যও হয়ে উঠছে প্রকট। ফলে এই সম্পর্ক আর বেশিদূর এগিয়ে যেতে পারে না।
প্রত্যাশার গড়মিল
বন্ধু মানে সম্পর্কের স্বাচ্ছন্দ্য। বন্ধুদের কাছে মনের কথা বলা যায়, ইচ্ছে মতো অনুভ‚তি ভাগ করে নেওয়া যায়। তবে কেউ যদি বাড়তি প্রত্যাশা চাপিয়ে দেয় বন্ধুর উপর তবে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায় একসময়। স্বাচ্ছন্দ্য হারিয়ে গেলে বন্ধুত্ব টেনে নিয়ে যাওয়াটা ক্লান্তিকর মনে হতে পারে।
বন্ধুত্ব ‘স্বার্থপর’ হয়ে পড়লে
স্বার্থহীন সম্পর্কের অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে বন্ধুত্ব। সেই সম্পর্কে যদি স্বার্থ ভর করে, তবে বন্ধুত্ব টেকে না।
বন্ধুত্ব একতরফা মনে হলে
বন্ধুত্বে মনোমালিন্য হতেই পারে। কিন্তু সেটা নিয়ে পরস্পর আলাপ করে সম্পর্ক ঠিক করার আগ্রহ যদি দুই পক্ষের না থাকে, তবে এই সম্পর্কের ভবিষ্যৎ খুব একটা ভালো না। যদি বারবার একজনই এগিয়ে আসে সম্পর্ক ঠিক করার জন্য এবং অন্যজন থাকে নির্বিকার, তবে একতরফা বন্ধুত্বে পরিণত হয় সম্পর্ক।