বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
ইছামতির ভাঙ্গনে মৃত্যুমুখে দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভ পারুলিয়া বড়শান্তা সড়ক নির্মাণে অনিয়মের ছোয়া \ কর্তৃপক্ষ কি বলবেন? ঠিকাদারের গাফিলতিতে অতিষ্ট এলাকাবাসী ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে পল্লী উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পুকুরে গোসল করতে নেমে যুবকের মৃত্যু নিয়ন্ত্রন হারিয়ে যাত্রীবাহি বাস ধান ক্ষেতে \ পথচারী নারীর মৃত্যু একটি জাতিকে উন্নত শিখরে পৌঁছে হলে শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করতে হবে- ডাঃ আব্দুল মজিদ পাইকগাছায় পলিথিন ও প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে বনজীবীদের দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা আশাশুনি প্লাস্টিক ও পলিথিন দুষণ প্রতিরোধে গণশুনানি আশাশুনি মার্কেট লিংকেজ ও ভ্যালু চেইন নেটওয়ার্ক গঠন

অন্তরঙ্গতার নানা ধরন সম্পর্ক গভীর করবে

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০২৩

এফএনএস লাইফস্টাইল: যখন অন্তরঙ্গতা বা ঘনিষ্টতার বিষয়টি সামনে আসে, তখন আমরা ভাবি ঘনিষ্ঠতা শুধু শারীরিক বা মানসিকভাবে হয়। কিন্তু একটি সম্পর্কে অন্তরঙ্গতার নানা ধরন হতে পারে। সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা এমনই কিছু ধরন নিয়ে বলছেন যা সম্পর্ককে আরো বেশি শক্তিশালী এবং দীর্ঘস্থায়ী করে তুলতে পারে।
১. বুদ্ধিবৃত্তিক অন্তরঙ্গতা
এটি আপনার সঙ্গীর সাথে গভীর এবং চিন্তাশীল কথোপকথনে জড়িত হওয়ার মাধ্যমে ঘটতে পারে।
কোনো বিষয়ে আপনার চিন্তা-ভাবনা শেয়ার করা, বর্তমান ঘটনা নিয়ে আলোচনা, জ্ঞান বিনিময় এবং আগ্রহের বিষয় নিয়ে তর্ক-বিতর্কে এ সম্পর্ক তৈরি হয়। আপনার সঙ্গী যখন কোনো ভয় ছাড়াই তার চিন্তা-ভাবনা এবং মতামত ভাগ করে নিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, তখন তা সম্পর্ককে শক্তিশালী করে।
২. অভিজ্ঞতামূলক ঘনিষ্ঠতা
একসাথে নতুন এবং উত্তেজনাপূর্ণ বিষয়ে সামিল হওয়া। এটি সম্পর্কে দীর্ঘস্থায়ী সুখস্মৃতি তৈরির সর্বোত্তম উপায় বলে মনে করেন অভিজ্ঞজনরা।
একসাথে নতুন জায়গায় ভ্রমণ, দুঃসাহসিক অভিযান চালানো বা নতুন অভিজ্ঞতার সূচনা এবং একসাথে সকল আনন্দ ভাগাভাগিতে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা আরো গভীর হয়।
৩. বিনোদনমূলক অন্তরঙ্গতা
দম্পতি হিসাবে একসাথে বিনোদনমূলক কাজে অংশগ্রহণ করা মজার অভিজ্ঞতা দিতে পারে। একসাথে খেলাধূলা এবং নিজেদের শখগুলো পূরণের একে অপরের পরিপূরখ হওয়া বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করে।
৪. সৃজনশীল অন্তরঙ্গতা
সৃজনশীলমূলক কাজগুলোতে একে অপরকে সহযোগিতা করার মাধ্যমে নিজেদের অনুভ‚তি ভাগাভাগি হয়।
কোনো শিল্পকর্ম সৃষ্টিতে দুজন একযোগে লেগে পড়া, গান লেখা বা এ ধরনের বিষয়ে কাজ শুরু করুন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

দিনটা শুরু হবে চায়ে, না কফিতে? জানুন কোনটা ভালো সকালের শুরুটা কেমন হয়, পুরো দিনের ওপর তার একটা ছাপ পড়ে। কেউ সকালে উঠে চায়ের কাপ হাতে না পেলে যেন দিনই শুরু করতে পারেন না, আবার কেউ আছেন কফির তীব্র গন্ধ ছাড়া সকাল কল্পনাই করতে পারেন না। এই দুটি পানীয় শুধু স্বাদের জন্য নয়, বরং অভ্যাস, সংস্কৃতি এবং মানসিক প্রশান্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—সকালের জন্য কোনটা ভালো? চা নাকি কফি? এই নিয়ে নানান জনের নানান মত। চাপ্রেমীরা বলবেন চায়ের কথা তেমনি কফিপ্রেমীদের ভোট থাকবে কফিতে। আসুন জেনে নেই আসলে স্বাস্থ্যকর দিক থেকে কোনটি সবচেয়ে ভালো। বিশ^জুড়ে কোটি কোটি মানুষ দিনের শুরু করে এক কাপ চা দিয়ে। বিশেষ করে উপমহাদেশে চা শুধু পানীয় নয়, এক ধরনের সংস্কৃতি। আমাদের দেশে সকালে বাসার বারান্দায় বসে কড়া লাল চা কিংবা দুধ চা পান করার অভ্যাস অনেক পুরোনো। চায়ে উপস্থিত থাকে ক্যাফেইন, তবে তা কফির তুলনায় অনেক কম। এজন্য চা ধীরে ধীরে কাজ করে, মাথা ঠান্ডা রাখে এবং এক ধরনের প্রশান্তি দেয়। এতে থাকা এল—থিয়ানিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং মনোযোগ বাড়ায়। যাদের সকালে অতিরিক্ত উত্তেজনা বা নাড়া—চাড়া একদম পছন্দ নয়, তাদের জন্য চা একটি আদর্শ পানীয় হতে পারে। অন্যদিকে কফি হচ্ছে সকালের সেই পানীয়, যা অনেকের চোখ খুলে দেয়। যাদের সকালে কাজে নেমে পড়তে হয় দ্রুত, তাদের কাছে কফি যেন এক অলৌকিক শক্তির উৎস। এতে থাকা বেশি পরিমাণ ক্যাফেইন খুব দ্রুত কাজ করে, মনোযোগ বাড়ায়, ক্লান্তি দূর করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক কাপ ব্ল্যাক কফি সকালবেলা শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে এবং ফ্যাট বার্নিংয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখে। তাই যারা স্বাস্থ্য সচেতন, তাদের অনেকেই সকালে কফিকেই বেছে নেন। কোনটা বেশি স্বাস্থ্যকর? চা এবং কফি—দু’টোর মধ্যেই রয়েছে স্বাস্থ্য উপকারিতা। চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ক্যাটেচিন এবং ফ্ল্যাভোনয়েডস হৃদরোগ, ক্যানসারসহ নানা জটিল রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। গ্রিন টি তো একেবারে স্বাস্থ্য সচেতনদের প্রিয়। অন্যদিকে কফির মধ্যেও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং নানা উপকারী উপাদান যা টাইপ—২ ডায়াবেটিস, পারকিনসনস ডিজিজ এবং অ্যালজাইমার্স প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। তবে একটা বড় পার্থক্য হলো—কফির অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণে উদ্বেগ, ঘুমের সমস্যা, হৃদকম্পন ইত্যাদি হতে পারে। অন্যদিকে চা তুলনামূলকভাবে বেশি সহনীয় এবং দীর্ঘমেয়াদে কম পাশ^র্প্রতিক্রিয়ামূলক। জীবনধারা ও অভ্যাস নির্ভর সকালে চা ভালো, না কফি—এই প্রশ্নের উত্তর অনেকাংশেই নির্ভর করে ব্যক্তির জীবনধারা ও স্বাস্থ্যের ওপর। কেউ যদি খুব সকালে উঠে ধীরে ধীরে দিন শুরু করেন, কিছুক্ষণ বই পড়ে, প্রার্থনা করেন বা নিজেকে সময় দেন—তাদের জন্য চা একটি উপযুক্ত সঙ্গী। আবার অফিস শুরু হতেই যদি ছুটতে হয়, মাথা ঠান্ডা রাখতে না পারলে সমস্যা হয়, তবে এক কাপ কফি প্রয়োজনীয় জ্বালানির মতো কাজ করে। অনেকেই আবার দুটোই পছন্দ করেন—সকালে কফি, বিকেলে চা। এতে শরীর ও মন দুটোকেই যথাযথভাবে সাড়া দেওয়া যায়।চা বনাম কফি, এই লড়াইয়ে নির্দিষ্ট করে জেতার কেউ নেই। বরং আপনার শারীরিক চাহিদা, মানসিক অবস্থা, এবং সকালের অভ্যাস—এই তিনটাই ঠিক করে দেবে কোনটা আপনার জন্য উপযুক্ত। কেউ হয়তো সকালে এক কাপ লাল চা নিয়ে প্রকৃতির শব্দে মুগ্ধ হন, আবার কেউ কফির তীব্রতায় জেগে উঠে নতুন দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত হন। দিনের শুরুটা হোক যেভাবেই চা বা কফি, দুটোই যদি আপনাকে ইতিবাচকতায় ভরিয়ে তোলে, তবে সেটাই আপনার জন্য সেরা সকাল।

© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com