বিলাল হুসাইন নগরঘাটা থেকে ঃ তালার নগরঘাটা ইউনিয়নের আলোচিত সেই হাঁড়কাটা ভেঁড়িবাধ রাস্তাটি পিচের কারণে দীর্ঘ তিন বছর ধরে পড়ে আছে । ফলে রীতিমতো ভোগান্তি শিকার হতে হচ্ছে জনসাধারণের। রাস্তা করতে আসা ঠিকাদার ২ বার পরিবর্তন হলেও আজ পর্যন্ত রাস্তার ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি । তবে রাস্তাটির পিচের ব্যবস্থা আজও হবে কিনা সেটা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানান সংশয় । এমন পরিস্থিতিতে রাস্তা দিয়ে চলাচলে জনসাধারণের চরম ভোগান্তির পোহাতে হচ্ছে । সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে নগরঘাটা ইউনিয়নের ভৈরবনগর মোড় থেকে আখড়াখোলার অভিমুখে ধেঁড়েখালি ব্রিজ সংলগ্ন পর্যন্ত রাস্তা খুড়ে খোয়া দিয়ে রেখেছে দীর্ঘদিন । প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায় এই রাস্তা দিয়ে । তবে পর্যাপ্ত যানবাহন রাস্তায় চলাচলের কারণে সৃষ্টি হয়েছে উদ্ভুত প্রস্তুতি । পাশাপাশি রাস্তার পাশে থাকা অসংখ্য মৎস্য ঘেরে ইটের গুড়ো প্রবেশের করে মৎস্য ঘেরের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে । সেই সাথে নষ্ট হচ্ছে এলাকার পরিবেশও । এ ব্যাপারে কথা হয় নগরঘাটা এলাকার সুপরিচিত ভ্যানচালক মোঃ আকবর আলীর সাথে তিনি দৈনিক দৃষ্টিপাতকে জানান প্রথম দিকে জনৈক একজন ঠিকাদার রাস্তা নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করে দেয়। সে সময় তিনি উক্ত রাস্তাটি কোন প্রকার মাটি খুড়ে বালি ভরাট করে পরে খোয়া ফেলে অজ্ঞাত কারণে সিটকে পড়ে । এরপর কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর অন্য একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এসে রাস্তার কাজ শুরু করে দেয়। তবে তিনিও রাস্তায় দায়সারা গোচের রোলার দিয়ে নিরবে নির্বিঘ্নে চলে যান । এছাড়া কথা হয় পথচারী সুমনের সাথে তিনি জানান ঠিকাদার ২ বার পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু রাস্তার কাজের কোন পরিবর্তন হয়নি। তালা উপজেলা প্রকৌশলী রথীন্দ্রনাথ হালদারের সাথে কথা হলে তিনি জানান সঠিক সময়ে উক্ত রাস্তা নির্মাণ কাজ শেষ না করায় এম,এম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিল চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কাছে আবেদন করা হয়েছে । তবে ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এমন যখন পরিস্থিতি তখন রাস্তা নির্মাণ করা নিয়ে ধোঁয়াসার বেড়াজাল কাটছে না বলে মনে করেন এলাকাবাসি।