স্টাফ রিপোর্টার ঃ দেবহাটায় ছোট বনের বাড়ির পারিবারীক সমস্যা মিটাতে গিয়ে বোন জামাইয়ের দায়ের আঘাতে জখম হলেন স্ত্রী ও শালিকা। ঘটনাটি গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় দেবহাটা গড়িয়াডাঙ্গা গ্রামে ঘটে। আহতরা হলেন, গড়িয়াডাঙ্গা গ্রামের শেখর দাসের স্ত্রী সাজিমা ও তার বোন সদরের আলিপুর গ্রামের অশোক দাসের স্ত্রী অনিমা দাশ। এ বিষয়ে গতকাল সন্ধ্যায় দেবহাটা থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। সাতক্ষীরা শহরের বাটকেখালী গ্রামের রঞ্জন দাশের পুত্র সুকুমার দাশ। এজাহার সূত্রে জানাগেছে, দেবহাটা গড়িয়াডাঙ্গা গ্রামের রামপদ দাশের পুত্র শেখর দাশের সাথে বোন সাজিমার পারিবারিক সূত্রে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শেখর বোনকে শারিরীক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছে। তাদের সংসারে দুইটা সন্তান রয়েছে। বাচ্চা দুইটির ভবিষ্যৎ চিন্তা করে সকল নির্যাতন সহ্য করে সাজিমা নীরবে সংসার করে আসছিল। গত কয়েকদিন যাবৎ ঐ নির্যাতনের পরিমান আরও বাড়িয়ে দেই। বিষয়টি জানতে পেরে বড় বোন অনিমা দাশ খবর পেয়ে গতকাল সকালে তাদের বাসায় যান। আলাপ আলোচনার এক পর্যায়ে শেখর বোনদের অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে তাদের ঘর থেকে ধারালো দা নিয়ে সাজিমাকে হত্যার উদ্দেশ্য মাথায় কোপ মারে। এতে সে গুরত্বর জখম হয়। ছোট বোনকে ঠেকাতে এগিয়ে গেলে বড় বোনকেও অনুরুপ ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারে এক পর্যায়ে তারা মাটিতে পড়ে গেলে মৃত্যু নিশ্চিত করতে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি মারতে থাকে। তখন বড় বোনের ডাক চিৎকারে স্বাক্ষীরা ছুটে আসলে সকলের সামনে খুন জখমের হুমকি প্রদর্শন করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাদের বাসায় গিয়ে আশংকজনক অবস্থায় বোনদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দেবহাটায় ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদের সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বোন জামাইয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জোর দাবি গ্রহনের এজাহারের বাদী।