এফএনএস: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গত এক বছরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারী-শিশুসহ ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভৈরব থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার ও বাজিতপুরের সরারচর পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার রেলপথের বিভিন্ন স্থানে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে দুই শিশু, ১০ নারী ও ৫৩ পুরুষ রয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই অজ্ঞাতনামা। সূত্র জানায়, চলন্ত অবস্থায় ট্রেনে উঠানামা, ছাদে ভ্রমণ, দুই বগীর সংযোগ স্থলে বসা, ট্রেনের দরজার হাতলে ঝুলে যাতায়াত, রেল লাইনের পাশ দিয়ে কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে হাঁটা, অবৈধ রেলক্রসিং ও অসর্তকভাবে লাইন পার হওয়ার সময় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, অসাবধানতার কারণে ট্রেনে কাটা পড়ার ঘটনা ঘটছে। কিন্তু পথচারীদের সচেতন করতে রেলওয়ে পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের তেমন কোনো কর্মকান্ড চোখে পড়ে না। মূলত সচেতনতার অভাবে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করেন তিনি। ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন নিরাপত্তা বাহিনীর ইনচার্জ এস এম তাজবির বলেন, রেলওয়ে স্টেশনসহ বিভিন্ন গেটে লোকজন অসচেতনভাবে কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে হাঁটাহাঁটি করে। ফলে তাদের অনেকেই ট্রেন দুঘর্টনার শিকার হন। এসব বিষয়ে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী প্রতি মাসেই ২-৩টি সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা হয়। এ ছাড়া করোনা পরিস্থিতি ভালো হলেই রেল স্টেশন, রেলগেট সংলগ্ন এলাকার মসজিদ, স্কুলে সচেতনামূলক কার্যক্রম চালানো হবে। এ বিষয়ে ভৈরব রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদাউস আহমেদ বিশ্বাস জানান, ট্রেন যাত্রী ও সাধারণ মানুষের অসতর্কতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনার শিকার মানুষজনের মধ্যে বেশিরভাগই অজ্ঞাতনামা। তবে পরর্বতী সময়ে কিছু লাশের পরিচয় পাওয়া যায়। ভৈরব রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার মো. নুর নবী বলেন, ট্রেনে কাটা পড়ে প্রতিবছরই বহু মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। মূলত যাত্রীদের সচেতনতার অভাবেই দুর্ঘটনা বাড়ছে। স্টেশনের প্লার্টফমে আগত যাত্রীদের মাইকিং করে নিয়মিত সচেতন করা হয় বলে জানান তিনি।