বিশেষ প্রতিনিধি \ শ্যামনগর উপজেলা মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নে জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মধুজিৎ রপ্তানকে ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধা সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা উঠিয়ে নিয়ে মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত মধুজিৎ রপ্তান কুলতলি গ্রামের মৃত তারাপদ রপ্তানের পুত্র। তিনি জানান, ২০২৩/২৪ অর্থবছরে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ৫৬ দিন সুন্দরবনে মাছধরা বন্ধ থাকায় মানবিক সহায়তা হিসেবে প্রতি জেলেদের মাথাপিছু ৬৮ কেজি চাউল বরাদ্দ হয়। প্রথম ধাপে ৬৫ কেজি করে প্রতিটি জেলে দের দেওয়ার কথা থাকলেও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধা নিজ ক্ষমতা বলে ২২ থেকে ২৩ কেজি করে চাউল জেলেদের মাঝে বিতরণ করে এবং প্রতিটি জেলের কাছ থেকে ২০০ টাকা হারে চাঁদা গ্রহণ করে। এঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়। অভিযোগটি তদন্তধীন আছে। নীতিমালা অনুযায়ী ২য় ধাপে গত ১১ ও ১২ আগস্ট মৎস্যজীবী জেলেদের মাঝে ৩০ কেজি করে চাউল বিতরণের কথা থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যান তার নিজস্ব ক্ষমতা বলে ২০ থেকে ২২ কেজি করে চাউল বিতরণ করে। এসময় মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির ১০০ জন কার্ড ধারি জেলেকে ইউপি চেয়ারম্যান চাউল দেওয়ার নাম করে পরিষদে ডেকে নিয়ে আসে এবং চাউল না দিয়ে পরিষদ থেকে তাদের তাড়িয়ে দেয়। মৎস্যজীবী জেলে সমিতির সদস্যরা তাৎক্ষণিক হরিনগর বাজারে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করার সিদ্ধান্ত নেয়। খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান তার সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা গত ১৩ আগস্ট সোমবার সন্ধ্যায় হরিনগর বাজার থেকে আমাকে (মধুজিৎ রপ্তান) তুলে নিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে ব্যাপক মারপিট করে এবং আমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ভেঙে ফেলে ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরবর্তীতে কোন কিছু করলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে রাত ১১ টার দিকে ছেড়ে দেয়। তখন আমি চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আমার লোকজনকে জানালে তারা তাৎক্ষণিক আমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আমি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি। মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধার মুঠোফোনে কল করলে ফোনটি রিসিভ না হওয়ায় তার ভাষ্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।