শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৪ অপরাহ্ন

কলারোয়া-টু-চান্দুড়িয়াসহ দুটি রাস্তার বেহাল দশা \ ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৩

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি \ সাতক্ষীরার কলারোয়া-টু-চান্দুড়িয়া এবং গাড়াখালি থেকে তলুইগাছা বিজিবি ক্যাম্প সড়ক দু’টি বেহাল দশায় চরম ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ। এমনকি সীমান্তবর্তী জন গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি রাস্তায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্তমানে রাস্তা দু’টির ছাল-চামড়া উঠে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যেখানে সেখানে পিচ, পাথর, ইট-খোয়া উঠে গর্ত হয়ে গেছে। ফলে রাস্তাটি ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় ভোগান্তির দীর্ঘশ্বা:স ফেলছেন পথচারীরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের গাড়াখালি থেকে তলুইগাছা বিজিবি ক্যাম্প রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে একেবারে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কার্পেটিং ওই রাস্তার খোয়া গুলো উঠে এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে। রাস্তায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় রাস্তা ভেঙে পুকুরের মধ্যে চলে গেছে। ভারি যানবাহন চলাচল করলেই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। এই রাস্তা দিয়ে সীমান্তবর্তী কেঁড়াাগাছি, সোনাবাড়িয়া, সাতক্ষীরা সদরের বাঁশদহা, কুশাখালী ইউনিয়নের লোকজনসহ সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা নিয়মিত যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু রাস্তাটি দীর্ঘদিন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে থাকলেও এখনো পর্যন্ত সংষ্কারের কোন ব্যবস্থা হয়নি- এমনটি অভিযোগ এলাকাবাসীর। একই চিত্র কলারোয়া থেকে চান্দুড়িয়ার ১৭ কিমির রাস্তাটিরও। তবে ওই রাস্তার দমদম থেকে চন্দনপুর কলেজ মোড় হয়ে গয়ড়া বাজার পর্যন্ত সংষ্কার শুরু হলেও রহস্যজনক কারণে তা বন্ধ আছে। প্রায় সবখানে রাস্তার দু’ধারে খুড়ে যতসামান্য বালি-খোয়া দিয়ে মাসের পর মাস ফেলে রাখা হয়েছে। এছাড়া অনেক স্থানে পিচ উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে মরার উপর খাড়ার ঘা হয়েছে ভুক্তভোগি জনসাধারণের। অপরদিকে, গতবছর সংষ্কার করা হাসপাতাল রোডের নতুন রাস্তার কয়েক স্থানে পিচ-পাথার-খোয়া উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। একই দৃশ্য রামকৃষ্ণপুর থেকে বিক্রমপুর রাস্তাটিও। এক বছর যেতে না যেতেই ওই রাস্তার অনেক স্থান দেবে গিয়ে নিচু হয়ে গিয়েছে। পিচ-খোয়া উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আর লোহাকুড়ার কানিপাড়া মোড় থেকে দমদম পর্যন্ত রাস্তার অবস্থাও নাজুক। সবমিলিয়ে চরম ভোগান্তি আর কষ্টে আছেন ওই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত চলাচল করা সাধারণ জনগণ। কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, তাদের স্কুল-কলেজে যেতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। মাঝে মধ্যে ইজিবাইক, মহেন্দ্র গর্তে পড়ে উল্টে যাচ্ছে। কয়েকজন কৃষক জানান, পাশের মাঠের সব ফসল এই রাস্তা দিয়ে বাড়ি নিতে হয়। এই রাস্তা দিয়েই কৃষি পণ্য বাজারজাত করা হয়। আমাদের এ কষ্ট কবে দূর হবে তার কোনো ঠিক নেই।’ ভুক্তভোগিসহ সচেতন মহল বলছেন, ভোগান্তি নিয়েই এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সাধারণ জনগণ রাস্তাঘাটের উন্নয়ন দেখতে চায়। এই রাস্তাগুলো দ্রæত সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করা সময়ের দাবি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com