শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৩৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কলারোয়ার তুলসীডাঙ্গায় বিএনপির মতবিনিময় সভা শ্যামনগরে ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির নির্বাচনে সভাপতি আসাদুল্লাহ, সম্পাদক হাফিজুর ব্রহ্মরাজপুরে সেলুন মালিক কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠন সভাপতি শম্ভু সম্পাদক মানিক সাতক্ষীরা জেলা চিংড়ি পোনা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সভা সাতক্ষীরা স্কাউটস্ ত্রৈ—বার্ষিক কাউন্সিল কমিশনার শাহজাহান সম্পাদক মনোরঞ্জন পুরাতন সাতক্ষীরা সরলাপাড়া যুব সংঘের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল পীরমাতা ব্লাড ব্যাংক নলতা শরীফ’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও মিলন মেলা অনুষ্ঠিত আশাশুনির খাজরা ও বড়দল সীমান্তে কালকী স্লুইস গেট পরিদর্শনে রবিউল বাশার শ্যামনগরে মটর সাইকেল দূর্ঘটনায় চালক নিহত ও আহত ১ কালিগঞ্জে সু—নাগরিকের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ

বৃষ্টিতে মৃত্যু বাড়ছে হিমাচল প্রদেশে

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৩

এফএনএস বিদেশ : কয়েকদিনে বর্ষার বৃষ্টিতে হিমাচল প্রদেশে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। যা বর্তমানে দাড়িয়েছে ৭৪ এ। সবশেষ গত বৃহস্পতিবার শিমলার একটি শিব মন্দিরের ধ্বংসস্তূপ থেকে আরেকটি মরদেহ উদ্ধার করে দমকল কর্মীরা। চাম্বাতে নিহত হয়েছে আরও দুজন। সিমলায় তিনটি বড় ভ‚মিধসে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে; যার মধ্যে একটি সামার হিলের শিব মন্দির। বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে ৫৫ দিনে রাজ্যটি ১১৩টি ভ‚মিধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট (পিডবিøওডি) ২ হাজার ৪৯১ কোটি রুপি এবং ভারতের জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ (এনএইচএআই) এর ক্ষতি হয়েছে ১ হাজার কোটি রুপি। হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু বলেছেন, সা¤প্রতিক ভ‚মিধসের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবেশগতভাবে ভঙ্গুর হিমালয়ে অবৈজ্ঞানিক নির্মাণ, বনভ‚মি হ্রাস এবং জলপ্রবাহকে বাধা দেয় এমন ¯্রােতের কাছাকাছি কাঠামোর কারণে ঘন ঘন ভ‚মিধস হচ্ছে। শিমলা, সোলান, মান্ডি, চাম্বা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিচ্ছিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের সাথে কয়েকটি স্থানে বজ্রসহ মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি)। গত রোববার থেকে শুরু করে টানা তিন দিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত হয় রাজ্যে। মঙ্গলবারের পর বৃষ্টি কিছুটা কমলেও গত বৃহস্পতিবার কিছু জায়গায় ফের হালকা বৃষ্টি হয়েছে। ২৪ জুন বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে হিমাচল প্রদেশে বৃষ্টি-সম্পর্কিত ঘটনায় অন্তত ২১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। হিমাচলের বিধ্বংসী বৃষ্টিপাত শুধু অবকাঠামোই ধ্বংস করেনি, একটি পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। শিমলা মন্দিরের ভ‚মিধসে একই পরিবারের সাতজনের মৃত্যু হয়। কর্মকর্তাদের মতে, তিন শিশুসহ পরিবারের সাত সদস্য ভেতরে থাকার সময় শিব মন্দিরটি ধসে পড়ে। ওই পরিবারের এক সদস্য বিনোদ বলেন, ‘আমার ভাই, তিন সন্তান, ভগ্নিপতি ও আমাদের এক মেয়েসহ পাঁচজন মারা গেছেন। উদ্ধারকারীরা তাদের মরদেহ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। আমি অন্তত তাদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে চাই।’ বৃষ্টি-বিধ্বস্ত রাজ্যে ব্যক্তিগত ক্ষতির পাশাপাশি হাজার হাজার মানুষের জীবন-জীবিকাও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পর্যটন এবং আপেল ব্যবসা হিমাচল রাজ্যের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। প্রবল বৃষ্টি আর ভ‚মিধসে এ খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ট্যাক্সি ড্রাইভার যারা প্রতিদিন দুই হাজার রুপি আয় করতেন, তাদের রোজগার এখন ২০০-তে নেমে এসেছে। হোটেল এবং গেস্ট হাউসগুলোতে পর্যটক নেই বললেই চলে। সূত্র: এনডিটিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com