এফএনএস স্পোর্টস: তীরে গিয়ে তরী ডোবার গল্প কম নেই বাংলাদেশের ক্রিকেটে। এমন যন্ত্রণায় সবচেয়ে বেশি পুড়তে হয়েছে সম্ভবত এশিয়া কাপেই। তিনবার ফাইনালে উঠেও শিরোপা জেতা হয়নি সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমদের। এবার নতুন আসর শুরুর আগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ছবি হৃদয়ে আঁকছেন জাতীয় নির্বাচক হাবিবুল বাশার। এশিয়া কাপের সবশেষ আসরে অবশ্য ভরাডুবি হয় বাংলাদেশের। আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার কাছে তারা হেরে বিদায় নেয় গ্রæপ পর্বেই। তবে সেটি ছিল টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। ওয়ানডে সংস্করণের এশিয়া কাপের সবশেষ আসরে বাংলাদেশ খেলেছে ফাইনালে। ভারতের বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে আশা জাগিয়েও অল্পের জন্য ধরা দেয়নি শিরোপা। এর আগে ঘরের মাঠে ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি ও ২০১২ সালের ওয়ানডে সংস্করণের টুর্নামেন্টেও ফাইনালে থামতে হয়েছে বাংলাদেশকে। প্রথমবার ¯্রফে ২ রানের জন্য পাকিস্তানের বিপক্ষে হতাশার হার। পরেরটিতে বৃষ্টিবিঘিœত ম্যাচে হতাশায় ডুবতে হয়েছে ভারতের বিপক্ষে। বিশ্বকাপের আগে এবার শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানে যৌথভাবে হবে ওয়ানডে সংস্করণের এশিয়া কাপ। স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা ছাড়াও বাংলাদেশের গ্রæপে রয়েছে আফগানিস্তান। তাদের বিপক্ষে লড়েই জায়গা করতে হবে সুপার ফোরে। গত বছর টি-টোয়েন্টি সংস্করণে যা করতে পারেনি সাকিব আল হাসানের দল। ওয়ানডে সংস্করণ হওয়ায় এবার বড় আশা দেখছেন বলে মিরপুরে শনিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানালেন জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল। তবে কাজটি যে সহজ হবে না, সেটিও ভালোই জানা তার। “এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টগুলো খুব কঠিন হয়। এখানে সেরা ক্রিকেটটা খেলতে হবে। বাকি যে দলগুলো, সবাই কিন্তু সময়ের সঙ্গে অনেক এগিয়েছে। গত ৪-৫ বছর আগের চেয়ে আফগানিস্তান অনেক এগিয়েছে। শ্রীলঙ্কাও গুছিয়ে নিয়েছে। ভারত, পাকিস্তান অনেক শক্তিশালী। আমাদের সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে হবে, যদি ভালো করতে হয়।” গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে ওয়ানডেতে ১৫ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ৮টিতে, হার ৫টি। আর ফল আসেনি ২ ম্যাচে। এই সময়ে খেলার ধরনেও পরিবর্তনও চোখে পড়ার মতো। আগের চেয়ে ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে বড় স্কোর গড়ার দিকে মন দিতে দেখা গেছে প্রায় সব সিরিজে। সা¤প্রতিক সময়ের এই পারফরম্যান্স এশিয়া কাপেও ধরে রাখায় জোর দিলেন হাবিবুল। “গত এক বছরের পারফরম্যান্স যদি দেখেন, তাহলে আমরা আশাবাদী হতেই পারি। তবে সেই পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তি করাটা খুব জরুরি। কারণ বড় টুর্নামেন্টে সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে হবে। আমার মনে হয়, দল হিসেবে আমরা প্রস্তুত আছি। দল হিসেবে আমরা ভালো করছি।” “গত এক বছর ধরে আমরা আমাদের খেলার ধরন সম্পর্কে পরিষ্কার। কী ধরনের খেলা খেলতে চাই, সেটা এখন আমরা পরিষ্কার। যদি টুর্নামেন্টে আমরা পুনরাবৃত্তি করতে পারি, তাহলে অবশ্যই এশিয়া কাপে ভালো করা সম্ভব।” এশিয়া কাপে তিন বার ফাইনালে উঠেও সঙ্গী হয়েছে হতাশা। এবার তেমন সুযোগ এলে সেটি দল লুফে নেবে বলেই আশার সাবেক অধিনায়কের। “এটি অবশ্যই অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। এই ধরনের টুর্নামেন্ট সবসময়ই চ্যালেঞ্জ হয়। এশিয়া কাপে বাংলাদেশ আগেও ফাইনাল খেলেছে। তখন আমরা জিততে পারিনি। আশা করছি, যদি এরকম পরিস্থিতিতে যেতে পারি, এবার হয়তো মিস করব না।”