শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:০৭ পূর্বাহ্ন

বায়ার্নের হয়ে উজ্জ্বল কেইন

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০২৩

এফএনএস স্পোর্টস: বুন্ডেসলিগা অভিষেকে প্রত্যাশা আর প্রাপ্তিকে মোটামুটি এক বিন্দুতে মেলাতে পারলেন হ্যারি কেইন। জার্মান লিগের ইতিহাসের সবচেয়ে দামী ফুটবলার বায়ার্ন মিউনিখের জার্সিতে লিগে প্রথম ম্যাচেই করলেন গোল, সহায়তা করলেন আরেকটি গোলে। বড় জয়ে শিরোপা ধরে রাখার অভিযান শুরু করল দল। বুন্ডেসলিগায় শুক্রবার ভার্ডার ব্রেমেনকে তাদের মাঠেই ৪-০ গোলে হারায় বায়ার্ন মিউনিখ। ম্যাচে প্রথম গোলে সহায়তা করার পর দ্বিতীয় গোলটি করেন কেইন। পেশাদার ফুটবলে ১৪ বছরের সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে এই প্রথমবার ইংল্যান্ডের বাইরের লিগে খেলছেন কেইন। টটেনহাম হটস্পারের একাডেমি থেকে ২০০৯ সালে মূল দলে সুযোগ পাওয়ার পর এই ক্লাবেই ছিলেন তিনি এতগুলি বছর। এই ৩০ বছর বয়সে এসে গত সপ্তাহে বায়ার্নে নাম লেখান তিনি রেকর্ড ১০ কোটি ইউরোতে। নতুন ক্লাবে যোগ দেওয়ার পরপরই অভিষেক হয়ে যায় তার। তবে জার্মান সুপার কাপে সেই ম্যাচে লাইপজিগের বিপক্ষে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয় বায়ার্ন। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে কোনো ভ‚মিকা রাখতে পারেননি কেইন। সেই দুঃস্বপ্ন তিনি পেছনে ফেললেন লিগ অভিষেকে। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই কেইনের কাছ থেকে বল পেয়ে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন লেরয় সানে। দারুণ দাপট দেখিয়ে ব্রেমেনকে কোণঠাসা করে রাখলেও প্রথমার্ধে আর গোল পায়নি বায়ার্ন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই চার মিনিটের ভেতর তিনটি আক্রমণ করে বায়ার্নকে নাড়িয়ে দেয় ব্রেমেন, তবে গোল আদায় করতে পারেনি। এরপর আবার জেগে ওঠে লিগ চ্যাম্পিয়নরা। তবে দ্বিতীয় গোলের জন্য অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হয় তাদেরকে। অবশেষে দলের ও কেইনের অপেক্ষা শেষ হয় ৭৪তম মিনিটে। আলফুঁস ডেভিসের দারুণ পাস থেকে বক্সের একটু বাইরে বল পেয়ে ভেতরে ঢুকে এক ডিফেন্ডার ও আগুয়ান গোলকিপারকে ফাঁকি নিয়ে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে বল জালে পাঠান তিনি। এরপর মেতে ওঠেন চেনা উদযাপনে। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে আরেকটি গোল করেন সানে। শেষ সময়ে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেয় বায়ার্ন। ম্যাচ শেষে কেইন শোনালেন ম্যাচের আগে আর পরে তার অনুভ‚তি। “কিছুটা নার্ভাস ছিলাম আমি, রোমাঞ্চিতও ছিলাম বেশ। যদিও বায়ার্নের হয়ে এটি আমার প্রথম ম্যাচ ছিল না, তার পরও ম্যাচের আগে কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। কিছুটা অস্থিরতা কাজ করছিল ভেতরে।” “তবে সব মিলিয়ে ভালো একটি সন্ধ্যা কাটালাম। ম্যাচটি কঠিন ছিল, তবে দ্রæত গোল আদায় করে আমরা খুব ভালো শুরু করি। পরে তারা আমাদের জন্য কাজ কঠিন করে তোলে, বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে। পরে আমি দ্বিতীয় গোল করি এবং বেঞ্জ থেকে আসা ছেলেরা বাকিটা শেষ করে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com