এফএনএস স্পোর্টস: এবারের নারী বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে ইউরোপের আরেক পাওয়ার হাউজ স্পেন। আজ রোববারের এই ফাইনাল ইতোমধ্যে নাম লিখিয়েছে নতুন রেকর্ড বইয়ে। অল ইউরোপীয় এই ফাইনালে অংশগ্রহণকারী দুটি দলই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে। আর তাই নারী ফুটবলে নতুন চ্যাম্পিয়ন দেখতে যাচ্ছে ফুটবল বিশ্ব। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে ৭৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়ামটি পরিপূর্ণ থাকবে বলেই আশা করা হচ্ছে। চার বছর আগে অনুষ্ঠিত আসরে অংশ নিয়েছিল ২৪টি দল, এবার ৩২টি দল। আগের আসরের তুলনায় প্রতিদ্ব›দ্বীতাপূর্ণ এবারের আসরে বেশ কয়েকটি ফেভারিট দলকেই বিদায় নিতে হয়েছে আগেভাগেই। গ্রæপ পর্ব থেকেই ব্রাজিলের সঙ্গে বিদায় নিয়েছে জার্মানি, ইতালি ও অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন কানাডা। এরপর শেষ ষোল থেকে বিদায় নেয় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রথম টুর্নামেন্ট থেকে এত আগে বিদয় নিয়েছে মার্কিন রমণীরা। অপরদিকে প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্টের শেষ ষোলো’তে নাম লিখিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, জ্যামাইকা ও মরক্কো। আর প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্টে এসেই কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে কলম্বিয়া। ইংল্যান্ডের কাছে ২-১ গোলে হেরে সেখান থেকে বিদায় নেয় দক্ষিণ আমেরিকার ওই দলটি। র্যাংকিংয়ের নিচের সারির দলগুলো এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে যে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে বড় দলগুলোর সঙ্গে তাদের মানের ব্যবধান খুব একটা বেশি নয়। অবশ্য শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্টের ফাইনালে শীর্ষস্থানীয় দুটি দলই প্রতিদ্ব›িদ্বতা করতে যাচ্ছে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শিরোপা ফেভারিট হিসেবেই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে এসেছে সারিনা উইগম্যানের ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। যদিও স্পেনের মতো এর আগে কখনো বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলতে পারেনি ইংল্যান্ড। সর্বশেষ ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে পরস্পরের মোকাবেলা করেছে দল দুটি। অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে জয় পায় ইংল্যান্ড। আর ফাইনালে জার্মানিকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বড় কোন শিরোপা ঘরে তোলে ইংল্যান্ড। ওই আসরে অবশ্য নিজ মাঠে সমর্থকদের জোড়ালো সমর্থন পেয়েছিল স্বাগতিক ইংল্যান্ড। যা এবার তারা পাচ্ছে না। বরং স্বাগতিক অস্ট্রেলিয় সমর্থকরা সমর্থন দিবে স্পেনকে। কারণ ইংল্যান্ডের কাছে হেরে সেমিফাইনাল থেকে দুঃখজনক ভাবে বিদায় নিতে হয়েছে টুর্নামেন্টের সহ-আয়োজক অস্ট্রেলিয়াকে। ইতিমধ্যে স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়ার টিকিট বিক্রির যে হার দেখা যাচ্ছে তাতে নারী ফুটবলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দর্শক সমাগম ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। উইগম্যানের হাতে বিশ্বসেরা একটি স্কোয়াড থাকলেও তিনি নিজেই ইংল্যান্ডের জন্য বড় সম্পদ। মহিলা দলের কোচ হিসেবে ইতোমধ্যে সেরা পছন্দের আসনটি দখল করে নিয়েছেন উইগম্যান। নেদারল্যান্ডসে ইউরোপীয় শিরোপা এনে দেয়ার পর প্রতিবেশী ইংল্যান্ডের দায়িত্ব নিয়েও এর পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছেন এই কোচ। সূত্র: বাসস