এফএনএস স্বাস্থ্য: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় সোরিয়াসিস নামক গুরুতর চর্মরোগের ঝুঁকি বাড়ে। এ ক্ষেত্রে ত্বকে লালচে ছোপ পড়ে ও আক্রান্ত স্থানের চামড়া সাদা হয়ে শুষ্ক হয়ে যায়। সোরিয়াসিসে ভুগছেন এমন প্রায় অর্ধেকেরও বেশি মানুষের মাথার ত্বকে এ সমস্যা দেখা গেছে। এ ছাড়া কপাল, কানের পেছনে এমনকি ঘাড়ের পেছনেও হয় সোরিয়াসিস। এই রোগটি মোটেও ছোঁচে নয় যে, একজনের শরীর থেকে অন্যজনে ছড়াবে। সোরিয়াসের জন্য দায়ী পারিবারিক এক জিন। পরিবারে অন্তত একজনেরও যদি সোরিয়াসিস থাকে তাহলে অন্যান্যের হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
মাথার ত্বকে সোরিয়াসিস হলে কী করবেন?
মাথার ত্বকের কোষগুলো বৃদ্ধি পাওয়ায় সোরিয়ার হলে ত্বকে অনেকটা পুরু হয়ে যায়। অনেকটা খুশকির মতো দেখায়। খুশকি মোমযুক্ত বা চর্বিযুক্ত হতে পারে, আর সোরিয়াসিস দেখতে চকচকে ও শুষ্ক। স্যালিসিলিক অ্যাসিড আছে এমন শ্যাম্পুগুলো ভালো কাজ করে সোরিয়াসিসের চিকিৎসায়।
>> সোরিয়াসিসের চুলকানি বন্ধ করতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। ময়েশ্চারাইজার বা এমনকি পেট্রোলিয়াম জেলির মতো ভারি মলম এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করুন। ঠান্ডা পানি বা ঠান্ডা প্যাকও আপনাকে স্বস্তি দিতে পারে।
>> আপেল সিডার ভিনেগারও এ সমস্যায় স্বস্তি দেয়। এজন্য সপ্তাহে কয়েক বার আপনার মাথার ত্বকে সামান্য পানিতে ভিনেগার মিশিয়ে ব্যবহার করুন। তবে আক্রান্ত স্থানে ক্ষত থাকলে এটি ব্যবহার করবেন না।
>> চা গাছের তেল হলো সোরিয়াসের আরেকটি প্রাকৃতিক প্রতিকার। এই তেল মাথার ত্বকে মেখে পরে শ্যাম্পু করে নিন। এতে কোনো অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া আছে কি না তা জানতে আগে প্যাচ টেস্ট করুন।
>> সোরিয়াসিসের চুলকানি সারাতে অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ ব্যবহার করুন। যখন চুলকানি তীব্র হয়, তখন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস (বিশেষত সিলেক্টিভ সেরোটোনিন রিউপটেক ইনহিবিটরস, বা এসএসআরআই) ও গ্যাবাপেন্টিনের মতো স্নায়বিক ব্যথার ওষুধসহ অন্যান্য বিকল্প অনুসরণ করুন। সূত্র: ওয়েব এমডি