মানুষ এবং প্যাথেটিক নার্ভ
অশোক কুমার বিশ্বাস
কান্না আমার সহজাত প্রবৃত্তি
আমার জন্মগত অধিকার
অনেক যতœ কোরে শুধু কান্নার জন্যে
ঈশ্বর মানুষের শরীরতন্ত্রে
একটা নার্ভ তৈরি কোরে দিয়েছেন
নাম তার প্যাথেটিক নার্ভ
কাঁদতে চাইলে সহজেই কাঁদতে পারি
কাঁদতে পারো তুমিও
এ কান্না যেন ঈশ্বরের উপহার!
পরম মমতায় কত কষ্ট কোরে
ঈশ্বর মানুষকে কান্না উপহার দিয়েছেন
মানুষ না কাঁদলে তো
ঈশ্বর কষ্ট পাবে…..
কাঁদো হে মানুষ
প্রাণ ভরে কাঁদো
সুযোগ পেলেই কাঁদো
কান্নার অশ্র“ শতভাগ নোনা
শতভাগ খাটি
অশ্র“জলের কোনো শত্র“ নেই
তাই পিপড়েও আমাকে বিরক্ত করেনা
তুমিও পরীক্ষা কোরে দেখো
কাঁদলে তুমিও নিরাপদ থাকবে।
কান্না অবলীলায় শুধুই কান্না
এর কোন রকমফের নেই
স্বজন বিয়োগে কান্না
প্রাপ্তির আনন্দে কান্না
হারানোর বিষাদে কান্না
প্রেম বিরহে কান্না
কাঁদলেই চোখ ভরা জল
কাঁদলে নার্ভ সচল থাকে
মানুষ তো বটেই
ঈশ্বরও খুশি থাকে।
হাসি সৃষ্টির জন্য কোনো নার্ভ নেই
কোনো সুনির্দিষ্ট অনুসঙ্গ নেই
তবুও মানুষ হাসে
কত অনায়াসে হাসে
অট্টহাসি ক্রুর হাসি স্মিত হাসি
ভিলেনের হাসি মৃদু হাসি
কতভাবে মানুষ হাসে,
অথচ কান্নার একটাই রুপ
কান্না——-শুধুই কান্না
কান্নার নোনাজলে পৃথিবী পবিত্র হয়
কত সোহাগ কোরে ঈশ্বর
কান্নার সুযোগ সৃষ্টি করেছেন
না কাঁদলে তো পাপ হবে!
এসো কাঁদি…….সবাই মিলে কাঁদি
কেঁদে কেঁদে প্যাথেটিক নার্ভ সচল রাখি
আর ঈশ্বর খুশিতে আপ্লুত হয়ে ভাবুন
নার্ভ সক্রিয় আছে
আমার সৃষ্টি পার্থক্য হয়েছে;
মানুষ এবং প্যাথেটিক নার্ভ দীর্ঘ জীবী হোক।