এফএনএস স্পোর্টস: বৈশ্বিক আসরের জন্য নিজেদের ঝালিয়ে নিতে এশিয়া কাপ আয়োজন করা হয় বিশ্বকাপের ঠিক আগে। তবে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চকে ¯্রফে প্রস্তুতি আসর হিসেবে দেখছেন না সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ অধিনায়ক এখনই তাকাতে চান না বিশ্বকাপে। বরং তার ভাবনাজুড়ে এখন কেবল এশিয়া কাপের দুই গ্রæপ প্রতিপক্ষকে হারানো। বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণার শেষ সময় আগামী ৫ সেপ্টেম্বর। তবে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেই দলে পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে। বিভিন্ন দলে নড়বড়ে হয়ে থাকা অনেক ক্রিকেটারের জন্য তাই এশিয়া কাপ হতে পারে বিশ্বকাপ দলে নিজেদের দাবি জানানোর সুযোগ। দলগুলির জন্য এটা সুযোগ, বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ঘাটতি বা দুর্বলতার জায়গাগুলো দেখে নেওয়া, ফাঁক-ফোকড় সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার। তবে সাকিবের কাছে এই টুর্নামেন্ট আলাদা করে গুরুত্ব পাচ্ছে এমনিতেই। এশিয়া কাপ খেলতে যাওয়ার আগের দিন বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, এখনই তিনি বিশ্বকাপকে ভাবনায় আনছেন না। “এখন পুরোটাই এশিয়া কাপ কেন্দ্রিক আমাদের পরিকল্পনা, প্রস্তুতি, সবকিছুই। এটা শেষ হলে যখন বিশ্বকাপের সময় আসবে, তখন আমরা বিশ্বকাপ নিয়ে চিন্তা করব। এই মুহূর্তে শুধুই এশিয়া কাপৃ আর যদি আরও ছোট করে বলতে চাই, এখন শুধু আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কাই আমাদের মাথায় চিন্তাতে আছে।” তবে বিশ্বকাপ নিয়ে এখন ভাবতে না চাইলেও এশিয়া কাপে ভালো করতে পারলে সেই আত্মবিশ্বাস যে বিশ্বকাপে প্রেরণা জোগাবে, তা ঠিকই বললেন অধিনায়ক। “দুইটা পুরো ভিন্ন টুর্নামেন্ট। হ্যাঁ, যদি এখানে আমরা ভালো করতে পারি, তাহলে আমাদের সেই আত্মবিশ্বাস দেবে যে, আমরা যদি এশিয়ার ভেতরে ভালো একটা দল হিসেবে গড়ে উঠতে পারি, তাহলে বিশ্বকাপেও আমাদের ভালো করার একটা সম্ভাবনা থাকবে। সেদিক থেকে এটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে এমন নয় যে, এটাতে খারাপ করলে বিশ্বকাপে আমাদের সব আশা থেকে নিরাশ হয়ে যাব। আবার এটাতে ভালো করলেও যে সব আশা আরও বেড়ে যাবে, সেটাও না।” এশিয়া কাপ খেলতে রোববার দুপুরে ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশ দল। বুধবার প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। যে মাঠে খেলা হবে, সেই পাল্লেকেলেতে স¤প্রতি লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের (এলপিএল) তিনটি ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। বাংলাদেশ দলেরই আরেক ক্রিকেটার তাওহিদ হৃদয় এই মাঠে খেলে এসেছেন চারটি ম্যাচ। মাঠ সম্পর্কে সা¤প্রতিক কিছু ধারণা তাই তাদের আছে। তবে সাকিব এটিও জানিয়ে দিলেন, এশিয়া কাপের ম্যাচটি হবে ভিন্ন উইকেটে। যদিও কন্ডিশন নিয়ে সমস্যা হবে না বলেই মনে করেন তিনি। “এশিয়া কাপে পাল্লেকেলেতে আমাদের প্রথম খেলা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে। ওখানে আগের যা রেকর্ড, সবসময় ব্যাটিং পিচ হয়ে থাকে। ব্যাটসম্যানরা রান করার সুবিধা পায়, বোলারদের জন্য তাই অনেক চ্যালেঞ্জিং। সেক্ষেত্রে ব্যাটসম্যানদের জন্যও চ্যালেঞ্জিং, বেশি রানটা করা। আমাদের সব দিকে প্রস্তুতি থাকতে হবে।” “এশিয়া কাপে পরিস্থিতি একটু ভিন্ন হবে। এলপিএলে মনে হয় আমরা মাঝের পিচগুলোতে খেলিনি, যেখানে এশিয়া কাপের ম্যাচ হবে। পিচগুলো একটু ভিন্ন ছিল। তো ওখানকার সঙ্গে এটার তুলনা করাটা কঠিন হবে। কিন্তু যেটা গুরুত্বপূর্ণ যে, কন্ডিশন আমি জানি এবং দেখে এলাম, খুব বেশি দিনের পার্থক্য নয়। খুব বেশি একটা বদল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যেহেতু আমরা তিন-চার দিন আগে যাচ্ছি, আমাদের খুব একটা কঠিন হবে না মানিয়ে নিতে।”