এস এম জাকির হোসেন শ্যামনগর থেকে \ শ্যামনগর উপজেলার নূরনগর আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মৎস্য সেট থেকে গ্রামীণ ব্যাংক পর্যন্ত প্রধান সড়ক ব্যবসায়ী, ইজিবাইক-মোটর ভ্যানের দখলে, চরম দুর্ভোগে পড়েছে পথচারী ও যানবাহন। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নূরনগরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান ঐতিহ্যবাহী নূরনগর আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১৭নং নূরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাশে রয়েছে মৎস্য সেট। মৎস্য সেট থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের সীমানা পর্যন্ত রাস্তার দুইপাশের ফুটপাত জুড়ে খুচরা মৎস্য ব্যবসায়ী, কাঁচা সবজি সহ বিভিন্ন দোকান বসিয়েছে ব্যবসায়ীরা। এখানে সামান্যতম ফুটপাতের জায়গা খালি নেই। কোন ক্রেতা পণ্য ক্রয়ের জন্য দাঁড়িয়ে গেলে ইজিবাইক মোটর ভ্যান সহ চলাচলের বিভিন্ন যানবাহন চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। যত্রতত্র ইজিবাইক, মোটর ভ্যান রাস্তার ওপরে পার্কিং করে রাখায় বিদ্যালয়ে আগত কোমলমতি শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে। এমন চিত্র নূরনগর ত্রিমহনী মোড়, পুরাতন মৎস্য সেট, পালপাড়া, দুর্গামন্দির মোড়, বাজার মোড়, অগ্রণী ব্যাংক মোড় হয়ে গ্রামীণ ব্যাংক মোড় পর্যন্ত এবং বাজার মোড় হয়ে কাঁচা বাজার থেকে সরকারপাড়া মোড় পর্যন্ত সর্বত্র রাস্তার উপরে ব্যবসায়ী, ইজিবাইক ও মোটর ভ্যানের দখলে। বেশিরভাগ জায়গায় ব্যবসায়ীরা তাদের পরসা সাজিয়ে বসে আছে। ফুটপাত দখল করে এসমস্ত এলাকায় ব্যবসা করা ও রাস্তার উপরে ইজিবাইক-মোটর ভ্যান পার্কিং করে রাখলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আসছেনা। নূরনগর বাজারটি উপজেলার একটি বিখ্যাত বাজার। এই বাজারটিতে পার্শ্ববর্তী রতনপুর, ভুরুলিয়া, কৈখালী, রমজাননগর ও শ্যামনগর সদর ইউনিয়নের (আংশিক) লোকজন নিয়মিত তাদের বাজার-সওদা করে ও ব্যবসা বাণিজ্য করে জীবন নির্বাহ করে। প্রতিদিন প্রথম সকাল থেকে শুরু করে সারাদিন ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দখলে, আবার রাস্তাও ইজিবাইক ও মোটর ভ্যান এর দখলে। এমতাবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দা সহ সকলের পথ চলা দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। এমন অবস্থা বিদ্যমান থাকলে যানজটের কবলে পড়বে স্কুল শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারি কমিশনার ভূমি, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী ও সাধারণ জনগণ।