এফএনএস বিদেশ : শস্য, সার এবং শক্তির অন্যতম প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয় রাশিয়া ও ইউক্রেনকে। কিন্তু করোনা মহামারির প্রভাব কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই এবার দেশ দুটির মধ্যে চলমান যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহ সুরক্ষিত করার ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য জাতিসংঘের প্ল্যাটফর্ম বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা কমিটির প্রধান গ্যাব্রিয়েল ফেরেরো ডি লোমা-ওসোরিও বলেছেন, ‘করোনা মহামারির আগেও পরিস্থিতি ভালো ছিল না, ক্ষুধা ধীরে ধীরে বাড়ছিল। এর মধ্যেই মহামারি আঘাত হানে।’ মার্কিন সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) তিনি বলেন, ‘মহামারির আগের তুলনায় বর্তমানে নতুন করে অনাহারে পড়েছে ১৬ কোটির বেশি মানুষ।’ ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা খাদ্যের প্রাপ্যতা এবং দামের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে উলেখ করে গ্যাব্রিয়েল আরও বলেন, ‘আমাদের সতর্ক হতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার ওপর যুদ্ধের একটি বড় প্রভাব দেখতে পাচ্ছি।’ তিনি বলেন, দেশগুলোকে তাদের খাদ্য নিরাপত্তার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশ তার প্রায় অর্ধেক গম ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে আমদানি করে। যদিও বিশ্বব্যাপী গম সরবরাহে এখন পর্যন্ত ব্যাঘাত ঘটেনি। কিন্তু ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার এক সপ্তাহ আগে থেকে পণ্যটির দাম ৫৫ শতাংশ বেড়েছে। বিশ্বের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ গম ও বার্লি রফতানি হয় রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে। এ ছাড়াও ইউক্রেন ভুট্টা এবং সূর্যমুখী তেলের অন্যতম প্রধান সরবরাহকারী, যা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহৃত হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০১১ সালের পর থেকে দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকা এসব পণ্যের সরবরাহ যুদ্ধের ফলে কমে যেতে পারে।