এফএনএস স্পোর্টস: জ¦রের সঙ্গে লড়াইয়ে ক্রমেই বাড়ছে লিটন দাসের মাঠে ফেরার অপেক্ষা। সুস্থ হয়ে উঠতে না পারায় এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে তাকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ দল। তবে এখনই তার বিকল্প কাউকে যোগ করা হচ্ছে না দলে। পাকিস্তানের মুলতানে আজ বুধবার পর্দা উঠবে এশিয়া কাপের এবারের আসরের। উদ্বোধনী ম্যাচে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ প্রথমবার এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের আসরে খেলতে আসা নেপাল। পর দিন শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। জ¦র সেরে না ওঠায় গতকাল মঙ্গলবারও রওনা দিতে পারেননি লিটন। প্রথম ম্যাচে লিটনকে ছাড়াই খেলতে হবে বাংলাদেশকে, নিশ্চিত করলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন। “লিটন দাসকে আমরা প্রথম ম্যাচে পাব না। এখন পর্যন্ত কোনো ব্যাকআপ পাঠানোর পরিকল্পনা নেই আমাদের। কালকে পর্যন্ত দেখি। লিটন শ্রীলঙ্কায় যাবে নাকি সরাসরি পাকিস্তানে যাবে, সেটি আসলে মেডিকেল বিভাগ আমাদেরকে সবুজ সংকেত দেওয়ার পর বলা যাবে। আমরা অপেক্ষা করছি।” হাইব্রিড মডেলের এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কায় প্রথম ম্যাচ খেলে এরপর পাকিস্তানের বিমান ধরবে বাংলাদেশ দল। আগামী রোববার লাহোরে তাদের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। গ্রæপ পর্বের বাধা পেরোতে পারলে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচও লাহোরে খেলবে বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে লিটনকে শ্রীলঙ্কায় না পাঠিয়ে সরাসরি পাকিস্তানেই নেওয়া হবে কি না, তা এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বিসিবি। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরি জানালেন, লিটনের অবস্থার খুব একটা উন্নতি হয়নি। “গতকাল মঙ্গলবার সকালেও লিটন দাসের জ¦র ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। জ¦র যেহেতু পুরোপুরি কমেনি, তাই আমরা কোনো সিদ্ধান্তে যেতে পারছি না। লিটনের পুনরায় ডেঙ্গু টেস্ট করানো হয়েছিল। সেখানে আবার নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু আমরা সতর্ক আছি, কারণ ডেঙ্গু আক্রান্ত হলেও এখন অনেক সময় ধরা পড়ে না পরীক্ষায়। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। যখনই সুস্থ হয়ে উঠবে, আমরা জানিয়ে দেব।” প্রথম ম্যাচে লিটনের না থাকার মানে আরও প্রশস্ত হলো তানজিদ হাসানের অভিষেকের পথ। যেখানে স্বাভাবিকভাবেই তার সঙ্গী হবেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। তবে প্রায় আড়াই বছর আগে সবশেষ ওয়ানডে খেলা নাঈমের অভিজ্ঞতা মোটে ৪ ম্যাচের। তরুণ বাঁহাতি তানজিদ এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ পাননি। ফলে অপরীক্ষিত ও অনভিজ্ঞ উদ্বোধনী জুটি নিয়ে এশিয়া কাপ শুরু করতে হবে বাংলাদেশকে। তানজিদ-নাঈমদের কাজ সহজ হতে পারে গত মাসে শ্রীলঙ্কার মাঠে ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপ খেলার অভিজ্ঞতায়। ওই আসরে ১১৬.৯৯ স্ট্রাইক রেটে ৪৫ ছুঁইছুঁই গড়ে ১৭৯ রান করেন তানজিদ। নাঈম করেন ৯৯.২০ স্ট্রাইক রেট ও ৪১.৬৬ গড়ে ১২৫ রান। চোটের কারণে আগেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছেন গত এক বছরে বাংলাদেশের সফলতম ওয়ানডে বোলার ইবাদত হোসেন চৌধুরি।