মধ্যস্বত্ত ভোগীদের দৌরাত্ব থেমে নেই ঃ বৃদ্ধি করতে হবে সবজি উৎপাদনে
দৃষ্টিপাত রিপোর্ট \ সবজি বাজারের অস্থিরতা ক্রেতা সাধারনকে দারুন ভাবে উদ্বিগ্ন করে তুলছে। বেড়েই চলেছে সবজির মূল্য। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় হাটবাজারগুলোতে সবজির মূল্য হুহু করে বেড়েই চলেছে। এই জেলা বরাবরই শষ্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত। সবজি উৎপাদনের অবারিত ক্ষেত্র সাতক্ষীরা বিধায় সাতক্ষীরার হাটবাজারগুলোতে সবজির মূল্য উর্ধমুখি হবে কেন? তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে সবজি বাজারের অস্থিরতা আর মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে মধ্যস্বত্ত¡ভোগীদের কালোহাত। সাতক্ষীরার উপজেলাগুলোতে ব্যাপক ভিত্তিক সবজি উৎপাদন হলেও মূল্য বৃদ্ধির প্রবনতায় এক শ্রেনির সবজি আড়ৎ ব্যবসায়ীরা প্রধান ভূমিকা রাখছে। সবজির মূল্য ব্যাপক ভিত্তিক কম হলে এক্ষেত্রে কৃষকের জন্য তা লোকসান, অন্যদিকে অতিরিক্ত মূল্য হলে সাধারন ক্রেতা সাধারনের জন্য অস্বস্থির কারন। কৃষক তার উৎপাদিত সবজির যথাযথ মূল্য ক্ষেত্র বিশেষ পাচ্ছে না। এক শ্রেনির সবজি ব্যবসায়ীরা কৃষকের ক্ষেত হতে সবজি সংগ্রহ করে তা আড়ৎ গুলোতে সরবরাহ করে থাকে। অবশ্য অল্প উৎপাদনকারী সবজি চাষিরা সরাসরি বাজারে নিয়ে আসে। খোজ নিয়ে জানাগেছে মধ্যস্বত্ত¡ভোগীরা কৃষকের ক্ষেত হতে যে সবজি কেজি প্রতি ২৫/৩০ টাকায় ক্রয় করছে ঐ সবজি একাধিক হাত বদল হয়ে সাধারন ক্রেতারা ক্রয় করছে ৪০/৪৫ টাকায়। সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর বড় বাজার সবজির পাইকারি হাট এখানে উলেখযোগ্য সংখ্যক আড়তের অস্তিত্ব বিদ্যমান। সাতক্ষীরার হাটবাজার গুলোতে কেবল সবজির মূল্য উর্ধমুখি তা নয়, একই বাজারে একই সবজির ভিন্ন ভিন্ন মূল্য চাওয়ায় বিভ্রান্ত এবং প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতারা। ঔষধি সবজি হিসেবে পরিচিত পিপের মূল্য কেজি প্রতি বরাবরই ১৫/২০ টাকা থাকলেও বর্তমানে তা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৫/৪০ টাকায়। আরেক ঔষধি সবজি লাউয়ের মূল্য যে ধরাছোয়ার বাইরে। হাট বাজারে লাউয়ের উপস্থিতির কমতি নেই কিন্ত মূল্য পাগলা ঘোড়ার ন্যায় ছুটছে তো ছুটছেই। বাজারে মাঝারী আকারের লাউয়ের মূল্য প্রতিটি ৪০/৪৫ টাকা, অথচ সাতক্ষীরায় বর্তমান মৌসুমে লাউয়ের উৎপাদন কম নয়। কাচকলা সবজি হিসেবে বিশেষ চাহিদার ক্ষেত্র সাতক্ষীরার হাট বাজারে কাঁচকলা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বরবটি কেজি প্রতি ৫০/৫৫ টাকা, পুইশাকের বাজারে যেন আগুন জলছে, পুঁইশাকের স্বাভাবিক মূল্য কেজি প্রতি ১০/১৫ টাকা সেই পুইশাক সাতক্ষীরার হাটবাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০/৪৫ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া কেজি প্রতি ৩০/৩৫ টাকা, ঢেড়স কেজি প্রতি ৩০/৩৫ টাকা, আমড়া কেজি প্রতি ৩০/৩৫ টাকা, খিরা কেজি প্রতি ৪৫/৫০, সাতক্ষীরায় ওলের উৎপাদন সন্তোষ জনক এবং বাজারে ওলের উপস্থিতিও কম নয় কিন্তু ওল কেজি প্রতি ৬০/৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সব সবজির জন্য সহায়ক এবং নিজেই সবজি হিসেবে পরিচিত গোল আলুর বাজার অস্বাভাবিকতায় পৌছেছে। সাতক্ষীরার বাজার গুলোতে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, কোথাও কোথাও আরও বেশি। এক শ্রেনির ব্যবসায়ীরা মৌসুমের সময় গুলোতো আলু সংগ্রহ করে হিমাগারে মওজুদ করেছে। চাহিদার সাথে সমন্বয় করে হিমাগার থেকে আলু বের করছে যা এক ধরনের সংকট সৃষ্টির সাথে তুলনা করা চলে। পেয়াজ আর কাচাঝালের বাজারে ঝাজ লেগেই আছে। সাতক্ষীরার সবজি বাজার নিয়ন্ত্রনে এবং সহনীয় মূল্যের জন্য মধ্যস্বত্ত¡ভোগীদের দৌরাত্ব রোধ করতে হবে সেই সাথে সবজির উৎপাদন, বৃদ্ধি করতে হবে। ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষ বাজার নিয়ন্ত্রনে কাঙ্খিত ভূমিকা রাখতে পারে।