এফএনএস স্পোর্টস: প্রথম দুই ম্যাচ পরাজিত হওয়ার পরও শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চার টি-টোয়েন্টি সিরিজ সমতায় শেষ করেছে সফরকারী নিউজিল্যান্ড। গতরাতে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ড ৬ উইকেটে হারিয়েছে বিশ^ চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে। এতে চার ম্যাচের সিরিজ ২-২ সমতায় শেষ হলো। প্রথম দুই ম্যাচ যথাক্রমে- ৭ উইকেটে ও ৯৫ রানে জিতেছিলো ইংল্যান্ড। তৃতীয়টিতে ৭৪ রানে জয় পায় নিউজিল্যান্ড। প্রথম তিন ম্যাচ শেষে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিলো ইংল্যান্ড। সিরিজ হার এড়াতে চতুর্থ ম্যাচে জয় ছাড়া বিকল্প পথ ছিলো না নিউজিল্যান্ডের। নটিংহামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৩ রান পায় ইংল্যান্ড। এ সময় ২৪ বলে ৪৮ রান করেন বেয়ারস্টো। সপ্তম ওভারে আরেক ওপেনার উইল জ্যাকসকে ১৬ রানে বিদায় করে ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি ৬৫ রানে ভাঙ্গেন স্পিনার ইশ সোধি। জ্যাকস ফেরার পর ২৬ বলে টি-টোয়েন্টিতে দশম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বেয়ারস্টো। দ্বিতীয় উইকেটে ডেভিড মালানকে নিয়ে ৪০ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন তিনি। স্পিনার মিচেল স্যান্টনারের শিকার হবার আগে ৪১ বলে ৫টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৭৩ রান করেন বেয়ারস্টো। ১২তম ওভারে দলীয় ১০৫ রানে বেয়ারস্টো ফেরার পর ইংল্যান্ডের পরের দিকের ব্যাটাররা সুবিধা করতে পারেনি। তারপরও ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭৫ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় ইংল্যান্ড। মালান-লিয়াম লিভিংস্টোন ২৬ রান করে করে এবং রেহান আহমেদ ১১ রান করেন। নিউজিল্যান্ডের স্যান্টনার ৩০ রানে ৩ উইকেট নেন। জবাবে মারমুখী মেজাজে শুরু করেন নিউজিল্যান্ডের ওপেনার ফিন অ্যালেন। ৬ বলে ১৬ রান তুলে দ্বিতীয় ওভারে পেসার লুক উডের শিকার হন অ্যালেন। দ্বিতীয় উইকেটে ড্যারিল মিচেলকে নিয়ে পাওয়ার প্লের সুবিধা কাজে লাগিয়েছেন আরেক ওপেনার টিম সেইফার্ট। তাদের মারমুখী ব্যাটিংয়ে ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৭৩ রান পায় নিউজিল্যান্ড। সপ্তম ও নবম ওভারে দলীয় ৮৩ রানের মধ্যে মিচেল-সেইফার্ট ফিরলে চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩২ বলে ৪৮ রান করেন সেইফার্ট। ৭ বলে ১৪ রান করেন মিচেল। ৮ রানের ব্যবধানে তাদের বিদায়ের পর গেøন ফিলিপস ও রাচিন রবীন্দ্রকে নিয়ে নিউজিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন মার্ক চাপম্যান। চতুর্থ উইকেটে ফিলিপসকে নিয়ে ৩৫ বলে ৫৮ এবং পঞ্চম উইকেটে রাচিন রবীন্দ্রর সাথে ২০ বলে অবিচ্ছিন্ন ৩৮ রান যোগ করে দলকে সিরিজ হারের মুখ থেকে রক্ষা করেন চাপম্যান। ফিলিপস ২৫ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪২ রানে আউট হন। ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৫ বলে অপরাজিত ৪০ রান করেন চাপম্যান। ৯ বলে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন রবীন্দ্র। ম্যাচ সেরা হন স্যান্টনার। সিরিজ সেরা হন বেয়ারস্টো। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর থেকে কার্ডিফে চার ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করবে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড।