বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের অন্যতম উৎস চিংড়ী শিল্প ও গার্মেন্টস শিল্প হলেও হাল আমলে আমাদের দেশ রপ্তানী বানিজ্যে বহুবিধ পণ্য সামগ্রীর সংযোজন করেছে। আন্তর্জাতিক বিশ্বে আমাদের দেশ একদা শুধুমাত্র আমদানী কারক দেশ হিসেবে নিজেকে পরিচিত করলেও হাল আমলেও বিশ্ব ব্যবস্থায় তথা বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশ রপ্তানী কারক দেশের তালিকায় নিজের নাম অন্তভূক্ত করতে সক্ষম হজয়েছে। প্রতি ভচর আমাদের দেম বিশ্ব বাণিজ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি বিশ্ব সভায় আলোচিত হচ্ছে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের রেকর্ড দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে তো পাচ্ছেই। বর্তমান সময় গুলোতে দেশ প্রচুর পরিমান চিংড়ী উৎপাদন করছে এবং উৎপাদিত চিংড়ী বিশ^ বাজারে রপ্তানীর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে চলেছে। বিশ্ব ব্যবস্থায় বর্তমান সময়ে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ঘনঘটা কিন্তু বাস্তবতা হলো ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে বিশ্বের উন্নত দেশ গুলোর অনেকেই অর্থনীতির মন্দার কবলে কিন্তু আমাদের দেশ অর্থনীতিতে পিছিয়ে নেই। অবশ্য ইউক্রেন যুদ্ধের ফলাফল আমাদেরকে স্পর্শ করেনি তা নয়। আধুনিক ও উন্নত বিশ্বের যে কোন দেমের অর্থনীতির সাথে আমাদের দেশের অর্থনীতি চলমান। দেশের উৎপাদিত চিংড়ীর সিংহভাগ উৎপাদন হয় সাতক্ষীরা জেলায় আর সেই হিসেবে আমাদের জেলা অর্থনৈতিক গুরুত্ববহন করে চলেছে। বাংলাদেশ সাম্প্রতিক বছর গুলোতে আম রপ্তানীর মাধ্যমে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছে আর উক্ত বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের অন্যতম ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে সাতক্ষীরা। এই জেলা ও আম উৎপাদনে ও রপ্তানীতে শীর্ষে। গার্মেন্টস সামগ্রী রপ্তানী দেশের অর্থনীতির তথা বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের বিশেষ মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃত আর এ কারনে বিশেষ সাফল্য দেখানোর পাশাপাশি ঔষধ উৎপাদনেও অনেক অনেক উচ্চতায় পৌছেছে। বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের উৎপাদিত জীবনরক্ষাকারী ঔষধ বিশ্ব বাজারে রপ্তানী হচ্ছে। নানান ধরনের সবজি, সিরামিক, কুটির শিল্প, রপ্তানী হচ্ছে। দেশ এমনকি জাহাজ শিল্প ও রপ্তানী করছে। দেশের রপ্তানী বানিজ্য বৃদ্ধিতে যে যার অবস্থান হতে নিরলস ভাবে কাজ করি।